দর্পণ ডেস্ক : ওই ছাত্রী মুকসুদপুর উপজেলার কলিগ্রাম মনিমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ির বাইরের একটি টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে বুধবার তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, কলিগ্রাম বঙ্গরত্ন কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র সোহাগ মল্লিকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি এ সম্পর্কে ফাঁটল ধরে। এ নিয়ে সোহাগ তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
মঙ্গলবার ২৩ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে সে বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে পানি আনতে যায়।সোহাগ সেখান থেকে মুখ চেপে ধরে তাকে পাশ্ববর্তী ঝোপের মধ্যে নিয়ে জোর করে মদ্যপান করায়।পরে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ শেষে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরের দিন সকালে সজ্ঞা ফিরলে সেখান থেকে বাড়ি এসে সবাইকে ঘটনাটি জানায় ওই ছাত্রী। তার অভিযোগ, প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় এভাবে প্রতিশোধ নিয়েছে সোহাগ।
হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ও গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা.শামীমা ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর মেডিকেল করা হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই সোহাগ পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, ‘আমি বিষয়টি এখনও জানি না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’