অনলাইন ডেস্ক : দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। এদিকে গতকাল শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা বিক্রি হলেও আগের শুক্রবার ছিল ৮০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, মিলগেটে চিনির দাম বাড়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে চিনির দাম বাড়ছে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। এ ছাড়া চাল, ডাল ও তেলসহ বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম ছিল স্থিতিশীল। শুক্রবার রাজধানীর নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার, রামপুরা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে যে কাঁচামরিচের কেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়। এদিন চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, দেশি টমেটো ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়।

বরবটি বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকায়, করলা ৫৫, শিম ৬০, শসা ৫০, গাজর ৫০, পেঁপে ৩৫, পটোল ৫০ এবং আলু প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, যা সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা।

এছাড়া রসুন কেজিপ্রতি ১০০-১১০ টাকা বিক্রি হয়েছে, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আদা বিক্রি হয়েছে ১১০-১২০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা।

রাজধানীর রামপুরা বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা শফিকুল ইসলাম জানান, চিনি ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছেই। বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকা সত্ত্বেও কেজিপ্রতি সবজি বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা দরে। তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে এভাবে দাম বাড়াতে পারত না ব্যবসায়ীরা।’

এদিকে মাছের দাম ছিল স্থিতিশীল। শুক্রবার চারটি এক কেজি ওজনের রূপচাঁদা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার টাকা এবং পাঁচটির এক কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা।

রুই ও কাতলা প্রতি কেজি ২৩০-৩০০ টাকা, চিংড়ি মাছ বড় আকারে প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ৭০০ টাকা এবং ছোট আকারের ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকা, কই মাছ ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সিলভার কার্প ১০০-১২০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১০০-১২০, নলা ১২০-১৩০ টাকা এবং সরপুঁটি ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

শুক্রবার গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৭০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা, ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ১৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার মুরগি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।