যেখানে জানানো হয়েছে, আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে চলচ্চিত্র জমা দিতে হবে। আগ্রহীদের উন্নতমানের প্রিন্টের ডিভিডি জমা দিতে দিতে হবে। তার আগে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড অফিস ও ওয়েবসাইট থেকে এর জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, এবারও মোট ২৮টি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হবে।
চলচ্চিত্র জমা দেয়ার আগে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। শর্তগুলো হচ্ছে-
১. কেবল বাংলাদেশি নাগরিকরাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন।
২. আজীবন সম্মাননার জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে।
৩. যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে সেই সিনেমায় বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীরা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না।
৪. পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য অবশ্যই ছবিটিকে সেন্সর সনদ পেতে হবে এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রমাণ্যচিত্রের জন্য প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদ পেতে হবে।
৫. কাহিনীর ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক বা প্রকাশকের কপিরাইট বা অনুমতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
৬. বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী পুরস্কারে বিবেচিত হবে না।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৭৫ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। প্রথম দিকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার না থাকলেও ২০০৯ সালে প্রথম এই পুরস্কার চালু করা হয়।