সিলেটে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ; এমন সময়ে দলের বাকি সব সতীর্থের মতো ম্যাচ-ভাবনায় ডুবে থাকার কথা মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু জিম্বাবুয়ে সিরিজের মাঝপথে খেলার আগে বিসিবি তার মাথায় পাকিস্তান-সফর ইস্যু চাপিয়ে দিয়েছে।

সোমবার টিম ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে জানানো হয়, আগামী মাসে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি না হলে আজকের দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশে তাকে রাখা হবে না। তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে না যাওয়ার পূর্ব সিদ্ধান্তেই অনড় থেকেছেন মুশফিক। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মুশফিকের মাঠে নামা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

টিম ম্যানেজমেন্টের একটি সূত্রে জানা গেছে, বিসিবি চায় মুশফিক যেন অবশ্যই পাকিস্তান সফরে যান। আগামী মাসে পাকিস্তানে গিয়ে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। যে বা যারা পাকিস্তানে যাবেন, তিনি বা তাদেরই খেলানো হবে চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজে, যেতে রাজি না হলে খেলানো হবে না- এমন একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে মুশফিককে। বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনের এই বার্তা সোমবার কোচ ও নির্বাচকদের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়।

জানা গেছে, এমন শর্তারোপেও নিজের সিদ্ধান্ত বদলাননি মুশফিক। বলে দিয়েছেন- পাকিস্তানে তিনি যাবেন না। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মুশফিক। সোমবার রাত পর্যন্ত টিম ম্যানেজমেন্টও তাকে খেলানো নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল, অপেক্ষায় ছিল বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা বোঝা যাবে আজ দুপুর ১টায় ম্যাচ শুরুর সময়।

বাংলাদেশ দল এরই মশ্যে দু’দফায় পাকিস্তান সফর করে এলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় মুশফিক সঙ্গে যাননি। শুরুর দিকে বিসিবি সভাপতির বক্তব্য ছিল- কাউকে সেখানে যেতে জোড়াজুড়ি করা হবে না। তবে জানুয়ারিতে টি-২০ প্রথম দফা সফর করে আসার পর ভাবনা পরিবর্তন করে বিসিবি, যা চূড়ান্ত রূপ পায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শেষ হওয়ার পর।

ওই সময় বিসিবিপ্রধান জানান, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকের পাকিস্তানে যাওয়া উচিত। এর ধারাবাহিতকায় সোমবার ম্যাচের আগে দেওয়া হলো শর্তকেন্দ্রিক চাপ। মুশফিক না গেলে পাকিস্তানে যাকে খেলানো হবে, তাকেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামানো হবে বলে জানানো হয়।