অনলাইন ডেস্ক : টানা তিনদিন সড়ক অবরোধ ও বাস ভাঙচুরের ঘটনায় আজ বুধবার সকাল থেকে রাজধানীতে বাস চলাচল কমে গেছে। পূর্ব ঘোষিত পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কোনো ধর্মঘট কর্মসূচিও নেই। এরপরও রাজধানীর প্রত্যকটি রুটে বেশির ভাগ বাস চলাচল করছে না। ফলে সকালে অফিস গন্তব্যের উদ্দেশে যারা বের হয়েছেন, তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। তাই মানুষের মনে প্রশ্ন অবৈধ চালকরা কি তাহলে শিশু শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স চেকের বিরম্বনা এড়াতে চাইছেন আর বৈধরা ভাংচুরের ভয় করছেন কিনা।

অ্যাপস ভিত্তিক যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় করে অফিস যেতে হয়েছে। বিভিন্ন রুটে দুই-একটি বাস চলাচল করলেও সেগুলোতে ছিল যাত্রীদের গাদাগাদি অবস্থা।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর নিহতের প্রতিবাদে চতুর্থ দিনেও প্রতিবাদ করছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা উত্তরার হাউজবিল্ডিং সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে এ পর্যন্ত কোনো ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।

উত্তরা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজার রহমান বলেন, ছাত্ররা হাউজবিল্ডিংয়ের সড়কে নেমে বিক্ষোভ শরু করেন। এর পর তারা দলবদ্ধ হয়ে বিএনএস সেন্টারের দিকে গিয়ে সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে তারা কোনো গাড়ি ভাংচুর করেনি।

তিনি বলেন, আমরা গাড়ি ডাইভারশনের চেষ্টা করছি।

এদিকে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জের ধরে আজও শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি ও দুই একটি স্থানে সড়ক অবরোধ করেছে। ফার্মগেট এলাকায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ওই রাস্তা নিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।

উত্তরা হাউস বিল্ডিং মোড়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। ডেমরা মা ও মাতৃসদন শিশু হাসপাতালের সামনে স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। টঙ্গী সরকারি কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে। ফলে ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের এক শিক্ষার্থী পুলিশের মারধরে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় আজ শিক্ষার্থীরা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে।