দর্পণ ডেস্ক : ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক রুহুল্লাহ জামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি ইরানের বাইরে বেশ কিছুদিন নির্বাসিত জীবনযাপন করেছেন।
অনলাইনে তার বেশ কিছু লেখায় প্রভাবিত হয়ে সাধারণ মানুষ ২০১৭ সালে বিক্ষোভে অংশ নেয়। সে সময় দেশের অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর আলজাজিরার।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ এজেন্সি এবং আধা সরকারি নুর নিউজ এজেন্সিসহ প্রায় সব গণমাধ্যমেই শনিবার সকালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গত জুনে রুহুল্লাহ জামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় ইরানের আদালত। সে সময় তিনি ইরানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। তার বিরুদ্ধে সে সময় ‘করাপশন অন আর্থ’ অভিযোগ আনা হয়েছিল। সাধারণত গুপ্তচরবৃত্তি বা ইরান সরকারকে উৎখাতের চেষ্টায় যুক্ত থাকায় লোকজনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইরানের সুপ্রিমকোর্ট তার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিন প্যারিসে নির্বাসনে থাকার পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে আটক করা হয়। রুহুল্লাহর তৈরি একটি ওয়েবসাইট এবং চ্যানেলে প্রচারিত বিভিন্ন তথ্যের কারণে ইরানে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।
সে সময় ইরানের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিলে যেগুলো সরকারের অবস্থানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা রাজপথে নেমে আসেন। রুহুল্লাহর আমাদনিউজের ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল ১০ লাখের বেশি।
শনিবার আধা সরকারি ইসনা নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের রিভোল্যুশনারি প্রসিকিউটরের কার্যালয় রুহুল্লাহর ফাঁসি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে। ৪৭ বছর বয়সী এই ইরানি সাংবাদিকের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।