দর্পণ ডেস্ক : বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে রোববার দুপুরে ঢাকা ও জামালপুর আদালতে পৃথক দুটি মানহানির মামলা হয়। মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মাসুদা ভাট্টি। তাতে সাড়া না দেওয়ায় রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন তিনি।
একইদিন জামালপুরের আদালতে ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা। দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এদিনই হাইকোর্টে গিয়ে দ্রুত জামিন নেন ব্যরিস্টার মইনুল হোসেন।
মানহানির দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর বিকেলে হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে পাঁচ মাসের আগাম অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মইনুলকে পাঁচ মাসের আগাম জামিন দেন।
এ সর্ম্পকে জামিনের পর সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ওই মন্তব্যের জন্য ফোন করে মইনুল হোসেন ক্ষমা চেয়েছেন, লিখিতভাবে সরি বলেছেন। তারপরও তিনি (মাসুদা ভাট্টি) মামলা করেছেন, যা আমরা আশা করিনি। এর পেছনে সরকারের যোগসাজশ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, জামালপুরে যিনি মামলাটি করেছেন, তিনি যুব মহিলা লীগের সদস্য। তাহলে বোঝা যায়, এর পেছনে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে আরও ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার একে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে একাত্তর টিভিতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জামায়াতের সঙ্গে মইনুলের সংশ্নিষ্ঠতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন আমাদের অর্থনীতির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি। এনিয়ে টকশোর এক পর্য়ায়ে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। তার ওই মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ দেখে টেলিফোন করে মাসুদা ভাট্টির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন, পরে বিবৃতিও পাঠান।