স্পোর্টস রিপোর্টার :  উত্তেজনা-রোমাঞ্চের ডালি সাজিয়ে আবারও হাজির বিশ্বকাপ। ফুটবল মহাযজ্ঞের ২১তম আসরের পর্দা উঠছে আজ রাত ৯টায় স্বাগতিক রাশিয়া ও সৌদি আরবের ম্যাচ দিয়ে। ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে গড়া লোভনীয় ট্রফি জয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে ৩২ দল।

বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই সামন আসে আধুনিক ফুটবলের কিংবদ্বন্তী ম্যারাডোনার নাম। তার সর্ম্পকে সব কিছুই সবার জানা, তবে বাংলাদেশী ফুটবল প্রেমীদের ক্ষেত্রে সচরাচর যে সুযোগ মেলেনা, গোটা জীবনে এমন মুহূর্ত হয়ত আসেনা কারও, বিশ্ব সেরাদের অন্যতম দিয়েগো ম্যারাডোনার সাথে ছবি তোলা নিশ্চয় তেমনই কিছু। জাতীয় দৈনিক দর্পণ প্রতিদিন ও বরিশালের আঞ্চলিক দৈনিক সাহসী বার্তা পত্রিকার কলাপাড়া প্রতিনিধি দিবাকর সরকার, পিতা- নিতাই লাল সরকার সেই সৌভাগ্যবান।
তার কাছে সেই মহেন্দ্রক্ষন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” আমার জীবনের এমন কিছু বাবা মায়ের আশীর্বাদ স্বরূপ; কাতার এয়ার পোর্টে কাজ করছিলাম। ২০১২ সালের ২৯ মে, রাত তখন সাতটা ২৯ মিনিট। আবুধাবী টু দোহা ফ্লাইট এসে গেছে। সেই ফ্লাইটে হুইল চেয়ার প্যাসেঞ্জারের রিকোয়েস্ট ছিলো ৩ টি। পেশাগত ভাবে স্পেশাল হ্যান্ডলিং ডিপার্টমেন্টের একজন হিসেবে ফ্লাইটে গেলাম। রীতিমত মুভিং স্টেপস এর বাইরে অপেক্ষা করছি। শ্রেনীক্রমে বিজনেস ক্লাস প্যাসেঞ্জার নামছিলেন। তাদের মধ্যে একজন যাত্রী বললেন, ম্যারাডোনা ইজ ইনসাইড!!
কথাটা শুনে তো মুখ হা হয়ে গেলো। বলে কি! আর সৌভাগ্যক্রমে আমার টার্গেট-প্যাক্স হেটেই চলে গেলো। ফুটবল যাদুকর তখন কেবিন ক্রুদের সাথে ছবি তোলায় ব্যস্ত। একদম পেছনের গেইটে জলদী চলে গেলাম। আমাদের ইউনিফর্মে এপিলেটস ছিলো যা কিনা ক্যাপ্টেনদের মত দেখতে। তাই ম্যারাডোনা সমীহ করলেন। অবশেষে যেনো স্বপ্নের মত ছুঁয়ে দিলাম ম্যারাডোনার ঈশ্বরের হাত। প্রকাশ করা যাবেনা কেমন লাগছিলো, এটুকুই মনে হচ্ছিলো, আমি বুঝি একটা স্বপ্নের সিড়িতে দাঁড়িয়ে আছি। আমি ফাকে ফাকে ওর পায়ের দিকে তাকাচ্ছাম, কি দৈত্যাকৃতির গোড়ালি! লৌহমানব একজন।
হুট করে একজন কেবিন ক্রুকে মোবাইল দিয়ে বললাম, একটা ছবি তুলে দাও। কোন দেরী নেই, একটা ক্লীকেই জীবনের স্বর্নালী মুহূর্তটি স্থায়ী হয়ে গেলো। ফুটবল কিংবদন্তীর সাথে অখ্যাত একজন দিবাকর সরকার ফেমাস হয়ে গেলো। ”