অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তিন সিটির মোট কেন্দ্র ৩৯৪টি।

সোমবার সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি

রাজশাহীতে মেয়র পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬০ জন ও ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আরও ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বরিশালে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯৩ জন ও ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আরও ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আর সিলেটে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১২৬ জন ও নয়টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আরও ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

১৩ জুন তিন সিটির তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১০ জুলাই প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা। কালো টাকা, সন্ত্রাস, আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তাপ ছিল ভোটের মাঠ। গতকাল রোববারও ছিল পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জনমত জরিপের বরাতে জানিয়েছেন, তিন সিটিতেই জিতবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। রাজশাহী ও বরিশালে বিএনপির চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে আওয়ামী লীগ।

গত তিন সপ্তাহ ভোটের প্রচারে একচেটিয়া এগিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ‘উন্নয়ন’। বিএনপি ভোটের মাঠে খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিকে ইস্যু করে। দলটির প্রার্থীরা উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। টানা তাপদাহে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়াও অন্য দলের প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয়ে দিনরাত প্রচার চালান।

এবারের নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণও মেলাতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার জোটসঙ্গীদের পাশে পেয়েছে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকরা তিন সিটিতেই আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি তার জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জামায়াতে ইসলামীকে পাশে পায়নি। সিলেটে বিএনপির বিপক্ষে মেয়র পদে প্রার্থী দিয়ে রাজনীতিতে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে জামায়াত।

এরপরেও বিএনপির দাবি, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তাদের বিজয় নিশ্চিত। দলটির নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনের নামে তামাশা করছে সরকার। বিএনপির তিন মেয়র প্রার্থী বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক, ভোটের মাঠ ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত লড়বেন।

তিন সিটিতে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আইন লঙ্ঘন ঠেকাতে মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। খুলনা ও গাজীপুরের মতোই তিন সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।