গ্রামীণফোনের রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী আগামী রোববার বিটিআরসিতে ১০০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামীণফোন।
শুক্রবার দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট গ্রামীণফোনকে এই নির্দেশনা দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে শ্রদ্ধা করে।
গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনের প্রধান এমডি হাসান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কার্যক্রমকে সীমাবদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রয়োগ করেছে- যার মধ্যে কোনো অনাপত্তিপত্র দিতে অস্বীকার করা, লাইসেন্স বাতিলকরণের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা, নম্বর সিরিজের পুনর্ব্যবহার অস্বীকার করা এবং প্রশাসক নিয়োগের সঙ্গে সংস্থাকে হুমকি দেওয়া ইত্যাদি।
এ পদক্ষেপগুলো গ্রাহকের অভিজ্ঞতা এবং ব্যবসায়িক অংশীদারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, ব্যবসায়ের পরিবেশের প্রতি আস্থা হ্রাস করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে তুচ্ছ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, গ্রামীণফোন পুনরাবৃত্তি করেছে যে, সংস্থাটি বিটিআরসি অডিট দাবির বৈধতা নিয়ে বিতর্ক করে এবং মাননীয় আদালতের সামনে তার অবস্থান শোনার প্রত্যাশায়। গ্রামীণফোন বিবাদটির একটি সুন্দর এবং স্বচ্ছ সমাধান খুঁজতে ও গ্রাহক, অংশীদার এবং শেয়ারহোল্ডারদের মূল্য রক্ষার জন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে গ্রামীণফোন আশা করে যে, ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপগুলো বাধা ছাড়াই চলবে এবং গ্রাহকদের সেরা সেবা দেওয়ার অনুমতি দেবে।