দর্পণ ডেস্ক : আগের রুপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীর পরিবেশ। আজ মঙ্গলবার থেকে পূর্বের ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে। এতে রাজধানীতে বাসের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে যানজটও। সেইসঙ্গে যাত্রীদের সংখ্যাও তুলনামূলক বেড়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যতো সিট ততো যাত্রী নিয়ে আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রে সে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। ভাড়া কমানোয় এখন বাসে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো শুরু হয়েছে। করোনার কারণে ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় অনেকেই এতোদিন বাসে যাতায়াত বন্ধ রেখেছিলেন। এখন আগের ভাড়ায় ফিরে আসায় বাসে যাত্রী বাড়ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাস্তায় বাসের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেড়েছে। বাসে যাত্রীর সংখ্যাও বেশি। কেউ দাঁড়িয়েও রয়েছেন। এ সময় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকেও ব্যস্ত দেখা গেছে। একদিন আগেও এতোটা ব্যস্ত দেখা যায়নি। যাত্রী ও বাস স্টাফদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও আজ অধিকাংশদের মুখে মাস্ক কিংবা গাড়িতে ওঠার সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
গত শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে গণপরিবহন আগের ভাড়ায় ফিরে যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত সংশ্লিষ্টদের প্রতিপালন করতে হবে মন্তব্য করে কাদের বলেন, গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, চালকের সহকারী, টিকিট বিক্রয়কারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। হাতধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অর্থাৎ যত সিট তত যাত্রী পরিবহন নীতি কার্যকর হবে। দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাতে হবে। ট্রিপের শুরু এবং শেষে যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী দুই চার দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে৷ তবে অধিকাংশ পরিবহনেই ভাড়ার নির্দেশনা মানা হয়েছে৷ সবার সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি, আশা করি সমস্যা থাকবে না৷’

স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি৷’

এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব খন্দকার মোজ্জামেল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, তাদের হটলাইনে ফোন করে অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে৷ এছাড়া স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।