Three competitors with 'Skinny' written on the bottoms enter the water at the start the second annual Sydney Skinny where they take part in an attempt to break the world record for the largest nude ocean swim a record set at last years inaugural event, in Sydney on February 23, 2014. Over 700 people competed last year and the event is used to strike a blow against negative body image pressure and simply to enjoy a brilliant swim. AFP PHOTO/William WEST (Photo credit should read WILLIAM WEST/AFP/Getty Images)

ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় ‘নগ্ন’ হয়ে বরফ পানিতে চলে সাঁতার কাটার আজব প্রতিযোগিতা! জার্মানিতে এই প্রতিযোগিতা প্রায় ৫০ বছর ধরে চলছে।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, শনিবার দক্ষিণ জার্মানিতে বরফের মতো শীতল ড্যানিউব নদীতে সাঁতার কাটার এই আজব প্রতিযোগিতায় প্রায় ১,৯১৭ জন প্রতিযোগী নাম লিখিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারীই নিওপ্রেন স্যুট, ভাইকিং হেলমেট এবং অন্যান্য রঙিন পোশাক পড়েছিলেন। ৪০০ মিটারের এই সাঁতারের প্রতিযোগিতায় ‘নগ্ন’ হয়েই নেমে পড়েন ৭০ জন প্রতিযোগী।

সাঁতার আয়োজকেরা জানায়, ড্যানিউবের (জার্মান ভাষায় ডোনাউ) তাপমাত্রা ছিল ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাঁতারে অংশ নেওয়া ২০ জন প্রতিযোগী হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন এবং তাদের পানি থেকে টেনে বের করে আনা হয়। এমন হাড় জমানো ঠাণ্ডা পানিতে সাঁতার কেটে আসার পরে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতিযোগীদের গরম গরম স্যুপ খেতে দেন।

মাইকেল মোয়েলার নামে সাঁতারে অংশগ্রহণকারী একজন জানান, তিনি নিওপ্রেম পরেই প্রথম ২ বছর সাঁতার কেটেছেন। কিন্তু গত ১৩ বছর ধরে খালি গায়ে সাঁতার কেটেই বেশি আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। তার কথায়, ‘খালি গায়ে ঠাণ্ডা পানিতে সাঁতার কেটে তরতাজা লাগে বেশ।’

অন্য আরেক প্রতিযোগী থমাস গিসফেল্ড জানান, এই অভিজ্ঞতা যথেষ্ট আনন্দদায়ক। তিনি বলেন, ‘যখন শরীর স্বাভাবিক হয়ে যায় তখন দারুণ লাগে, শ্যাম্পেনের মত মনে হয়, এরপর ঘন্টা খানেকের জন্য মনে হবে হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছেন আপনি। আমি সত্যিই হয়তো বর্ণনা করতে পারছি না, কিন্তু এটা এমনই।’

সংগঠকরা জানান, পোল্যান্ড, ফ্রান্স এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মতো দেশের সাঁতারু সহ ১৬২ টি সম্প্রদায়ের ২২২ টি দল এই প্রতিযোগিতায় এই বছর অংশ নিয়েছে।