দর্পণ ডেস্ক : চলমান ট্রাফিক সচেতনা সপ্তাহ পালন কালে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মাঝে আজকেও সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ জন নিহত হয়েছে।
খুলনায় রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রলির চাপায় প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। সিরাজগঞ্জে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নিহত হয়েছেন কলেজ শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন আরো ২ শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে খুলনার রূপসা উপজেলার আনন্দনগর এলাকায় রাস্তার পার হয়ে খাবার কিনতে দোকানে যাচ্ছিল স্কুলছাত্রী আঁখি মনি। হঠাৎ ইটবোঝাই দ্রুতগতির একটি ট্রলি শিশুটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আঁখি।
এদিকে সিরাজগঞ্জে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেন ও তার তিন সহপাঠী। ভদ্রঘাট বাজার এলাকায় রাস্তা পারাপারে সময় সিরাজগঞ্জগামী একটি দ্রুত গতির কাভার্ডভ্যান তাদের চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ধুকুরিয়া বিএম কলেজের শিক্ষার্থী হৃদয় নিহত হন। আহত অপর ২ ছাত্রকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, হৃদয়ের মৃত্যুর খবরে উত্তেজিত জনতা কাভার্ড ভ্যানটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক সচেতনতা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া স্বীকার করেছেন, সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি এটাও বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক আস্থিরতার সময় রাস্তায় ছিল পুলিশ এবং পরিবহন শ্রমিকেরা। সেজন্য মহানগর পুলিশের প্রধান হিসেবে তিনি সেটা মনে রেখে তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যাই, কিন্তু জবাব দিতে পারি না। এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার। জনগণ যাতে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করে, সেজন্য ট্রাফিক বিভাগকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি। দুর্ঘটনা ঘটানোয় বাস যেমন আটক করেন তেমনি দুর্ঘটনার কারণ হলে পথচারীকেও আটক করুন। আটক করে মিডিয়াকে দেখান, দেশের মানুষকে দেখান যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে, জেব্রা ক্রসিং ব্যতীত রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনার জন্য একে আপরকে দোষারোপ না করে সবাই মিলে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহন জরুরী।