দর্পণ ডেস্ক : পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্র বলছে, রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামী শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহাকে গ্রেফতার করা হয়। আবরার হত্যার এজাহারে অমিত সাহার নাম না থাকলেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি নিউজ।
শুরু থেকেই অমিত সাহার নাম আলোচনার শীর্ষে ছিল। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিখেন, অমিত সাহার বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদকে হত্যার অভিযোগ থাকলেও মামলা থেকে কেন তার নাম বাদ দেওয়া হলো।
অমিত ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক এবং পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র। তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র।
শিবির সন্দেহে আবরারকে হলের কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে ৩ অক্টোবর একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আবরারকে ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে সতর্ক করেছিলেন অমিত। হত্যাকাণ্ডের দিন রাসেল ও ফুয়াদ আবরারকে মারধর করার কথা বলেন। এটাকে তাদের ভাষায় ‘ট্রিটমেন্ট দিতে’ বলা হয়।
আবরারের মৃত্যুর পর দায়ের করা মামলায় ২০১১ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা অমিতের নাম না থাকা নিয়ে চলছিল দেশজুড়ে বিতর্ক। সবশেষ এতে নতুন করে মাত্রা যোগ করে অমিতের একটি মেসেজ ফাঁস। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠে। এতে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগে আবরারের সহপাঠী এক শিক্ষার্থীকে অমিত মেসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করেছেন, আবরার ফাহাদ কি হলে আছে? এ ধরনের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৭তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়ায় তারই এক সিনিয়র এ বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করেন।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্ বুধবার গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘অমিত সাহা নামের একজনের কক্ষে আমার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার নামটা এজাহারে আসে নাই। গতকাল (মঙ্গলবার) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ হয়েছে, তাকে বলেছি অমিত সাহাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উনি (তদন্ত কর্মকর্তা) বলেছেন, তদন্ত করে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’