আসিয়া বিবিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ২০১০ সালে দেওয়া ফাঁসির দণ্ড চলতি সপ্তাহে বাতিল করেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
প্রতিবাদে পাকিস্তানেজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছিল তেহরিক-ই লাবাইক নামের ইসলামপন্থী দল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আসিয়া বিবির মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বহাল করতে হবে।
আসিয়া বিবির আইনজীবী প্রাণ হারানোর ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
সাইফ-উল-মুলুক নামের ওই আইনজীবী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, তার জীবন এখন হুমকির মুখে। কিন্তু আসিয়া বিবির পক্ষে লড়ার জন্যই তার বেঁচে থাকা জরুরি। তাই তাকে পাকিস্তান ছাড়তে হয়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর আকার ধারণ করে যে, সরকার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, উচ্চ আদালতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা পিটিশনের বিরোধিতা করবে না সরকার।
এছাড়া আটক করা সব বিক্ষোভকারীকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং আসিয়া বিবি যেন পাকিস্তান ছাড়তে না পারেন তার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
আসিয়া বিবির আইনজীবী সাইফ-উল-মুলুক সরকারের এই সমঝোতাকে ‘বেদনাদায়ক’ বলে আখ্যায়িত করেন।
ইউরোপের উদ্দেশে বিমানে উঠার আগে সাইফ-উল-মুলুক বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া আদেশও সরকার বাস্তবায়ন করতে পারছে না।’
এছাড়া অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, সরকার উগ্রপন্থীদের কাছে নতিস্বীকার করেছে ও এ চুক্তি আসিয়া বিবির মৃত্যু পরোয়ানা স্বাক্ষরের শামিল।
অবশ্য পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সরকারের পদক্ষেপ সমর্থন করে বলেছেন, আসিয়া বিবির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবকিছুই করা হবে।
এর আগে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে, এ সপ্তাহের শেষ দিকেই আসিয়া বিবি মুক্তি পাবেন। বেশ কয়েকটি দেশ তাকে আশ্রয় দেওয়ার কথাও বলেছিল।