শনিবার (১১ জুন) ইরানের রাজধানী তেহরানে গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, দুটি দেশ জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও পর্যটনশিল্পে একে অপরকে সহযোগিতা করবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর তেহরানে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দেশ উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, জ্বালানি ও অর্থনৈতিক খাতে দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও একত্রে কাজ করবেন তারা।
রাশিয়া, চীন, কিউবা ও তুরস্কের মতো ইরানও ভেনেজুয়েলার অন্যতম বন্ধুপ্রতিম দেশ। বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ থাকায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরো পড়ুন>>
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইব্রাহিম রাইসি বলেন, কয়েক বছর ধরে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে ভেনেজুয়েলার জনগণ অবিচল থেকেছেন। প্রেসিডেন্ট ও সরকারি কর্মকর্তারাও দৃঢ়ভাবে নিষেধাজ্ঞা সামলেছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, সহযোগিতা চুক্তিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, পর্যটন, অর্থনৈতিক, তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল খাত রয়েছে।
নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ইরান ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে। সেগুলো হলো, জ্বালানি, পেট্রোকেমিক্যাল, তেল, গ্যাস ও শোধনাগার।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ১৮ জুলাই থেকে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস পর্যন্ত সরাসরি বিমান চলবে।
সূত্র: আল-জাজিরা