অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেগুন বাগিচার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবনের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মামলার বাদি দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- বাবুল চিশতী ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান।
গ্রেপ্তারের পর বাবুল চিশতী সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, এখন তারা (দুদক) ডেকেছে, আমরাও এসেছি। তদন্ত চলছে দেখা যাক কী হয়।”
ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একটি ব্যাংকে এককভাবে একজন পরিচালকের কিছু করার নেই।”
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় গুলশান থানায় দুদক সামছুল বাদি হয়ে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী এবং ফারমার্স ব্যাংকের এসইভিপি ও গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ফারমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতী ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমান অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতী তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে অর্থ নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
এর আগে দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম পুলিশের বিশেষ শাখায় চিঠি দিয়ে এই ছয় জনসহ ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের মুখে থাকা ফারমার্স ব্যাংকের ১৭ জন কর্মকর্তা ও গ্রাহকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চান।
ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে প্রতিষ্ঠার চার বছর না পেরুতেই ধুঁকছে ফারমার্স ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে।
ঋণ বিতরণে একাধিপত্যের অভিযোগে বাবুল চিশতীকেও পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।