অনলাইন ডেস্ক : পশ্চিমে একদল নারী আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণী বা এলিয়েন পৃথিবীতে বংশ বিস্তার করছে। আর সেজন্য তারা দুনিয়ার নারী সম্প্রদায়কে গিনিপিগ বানাচ্ছে। অর্থাৎ এলিয়েন সন্তান জন্মদানের জন্য পৃথিবীর নারীদের গর্ভাশয় ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি একদল নারীর এমন দাবি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তাদের দাবি, সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে এলিয়েন তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কেও জড়িয়েছে। এর আগে অবশ্য এলিয়েন দ্বারা যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি নারীরা উল্লেখ করতো না। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে নারীদের গর্ভাশয়ে এলিয়েনের ভ্রূণ স্থাপন করা হতো বলেই জানা ছিল।

পশ্চিমের এমন দাবি করা নারীরা বলছেন, তাদের সদ্যজাত সন্তানেরা দূর মহাকাশ থেকে আসা ভিনগ্রহের উন্নত প্রাণী। এমন দাবি করা নারীরা ‘হাইব্রিড বেবি’ নামের একটি কমিউনিটি’ও তৈরি করেছে। তাদের বিশ্বাস এলিয়েনরা আগামীতে তাদের DNA’র কোড পরিবর্তন করে এমন শিশুদের জন্ম দিতে চায়, যাদের মধ্যে মানুষ ও এলিয়েনের মিশ্রিত স্বভাব থাকবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি দুই মার্কিন নারীর এমন দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোর আলোচনা চলছে। তাদের দাবি, এলিয়েনের ঔরসজাত সন্তানের মা হয়েছেন তারা।

এদের দাবি যে মস্তিষ্কের উদ্ভট কল্পনা তাও মনে করার উপায় নেই। এদের মধ্যে ব্রিজেট নিলসন নামের একজন মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ’র দায়িত্ব পালন করেছেন। আর আলুনা ভার্স নামের অপর নারী ভিডিও গেম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু তাদের দাবি, এলিয়েনের সঙ্গে সহবাস করে তারা মোট ১৩টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে ২৭ বছর বয়সের ব্রিজেট দাবি করেছেন, যে কোনো পুরুষের তুলনায় এলিয়েন নাকি চরম যৌনসুখ দিতে পারে। তার আফসোস বিশ্বের হাজার হাজার নারী নাকি এমন যৌনসুখ থেকে বঞ্চিত।

যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনায় বাবার সঙ্গে থাকা ব্রিজেটের দাবি, তার সঙ্গে এলিয়েনদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। এলিয়েনের ঔরসজাত ৪ ছেলে ও ৬ মেয়েও হয়েছে তার। মহাকাশযানে এলিয়েনের সঙ্গে সেই যৌনমিলনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ব্রিজেট বলেন, ‘সেই অভিজ্ঞতা ছিল অবিশ্বাস্য।’