দর্পণ ডেস্ক : অতিমারিতে আমাদের মনে যে কোনও মুহূর্তে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয় কাজ করে। জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হচ্ছে প্রায় সবাইকেই। উঠতে হচ্ছে বিভিন্ন যানে।

সময়টা শীতকাল বলে সোয়েটার, জ্যাকেট, মোজা, টুপি পরতে হয়। এখন বাইরে থেকে ফিরে দীর্ঘ স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে, প্রথমে নিজের পরে জামা-কাপড়ের। আসুন জেনে নেয়া যাক শীতের পোশাক ভাইরাসমুক্ত রাখার উপায়গুলো কি-

১. বেশি নিশ্চিত হতে চাইলে শীতকালে দু’সেট গরম জামাই যথেষ্ট। একটা পরার ২৪ ঘণ্টা পর সেটা আবার পরা যেতে পারে ভাইরাসের ভয় ছাড়াই।

২. যদি কারও বেশি জামা-কাপড়েও সমস্যা থাকে তবে তিনি ওই জামাটিই ইস্ত্রি করে নিতে পারেন। গরম কিছুর সংস্পর্শে এলে শুকিয়ে যাবে ড্রপলেট। নষ্ট হবে ভাইরাস। অথবা রোদে ঘণ্টাখানেক রাখলেও চলবে। তাতেও ড্রপলেট শুকিয়ে শেষ হবে ভাইরাস।

৩. শীতের পোশাক ১২-১৩ ঘণ্টা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে বা়ড়িতেই একটা আলাদা জায়গা বানান। যেখানে বাইরের জামা কাপড় আলাদা করে কারও স্পর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়। ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর সরিয়ে নিতে পারেন সেখান থেকে।

৪. যে কোনও অতিছিদ্রসম্পন্ন জিনিসে বেশিক্ষণ টিকতে পারে না এই ভাইরাস। মসৃণ জিনিসই এর স্বাচ্ছন্দ বেশি। কারণ, ভাইরাস কাশি বা হাঁচি থেকে নিসৃত ড্রপলেটের সাহায্যেই আটকে থাকে যে কোনও জিনিসে। আর এই ড্রপলেট বা মিউকাস অতিছিদ্রসম্পন্ন জিনিসে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। কারণ, ড্রপলেট বা মিউকাস থেকে অতিছিদ্রসম্পন্ন জিনিস টেনে নেয় সমস্ত জলীয় পদার্থ। আর ড্রপলেটের পানি ছাড়া এই ভাইরাস বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না।

৫. যেকোনও ধরনের কাপড় তা শীতের পোশাক হোক বা সাধারণ কাপড়ের রয়েছে অতিচ্ছিদ্রসম্পন্ন তল। তাই যে কোনও কাপড়েই বেশিক্ষণ থাকতে পারে না ভাইরাস।

৬. প্লাস্টিক বা ধাতব জিনিস সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। আমাদের জামা-কাপড়ে অনেক সময়ই এধরনের জিনিসও ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে আলাদা করে নির্দিষ্ট জায়গাটি স্যানিটাইজ করে নিলে সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। কারণ প্লাস্টিক বা ধাতব জিনিসে অন্তত পাঁচদিন পর্যন্ত থাকতে পারে এই ভাইরাস।