পটুয়াখালীর কলাপাড়ার গ্রামীন জনপদে পাশ্চাত্যের
স্থাপত্য শৈলীতে তৈরী করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বাড়ী। আর এতে মাথা গোজার
ঠাঁই পাচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে
ক্ষতিগ্রস্থ ২৮১টি পরিবার। ২০২০ সালের জুনে ক্ষতিগ্রস্থদের অধুনিক বাড়ী
সম্বলিত এ উপশহরে পূনর্বাসন নিশ্চিত করেই শুরু হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র
নির্মান কাজ, এমনটাই জানিয়েছেন র্নিমান প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল।
জানা যায়, দক্ষিনাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালী ও বরগুনাকে ঘিরে ৩০হাজার
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অঞ্চল নির্মানের ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়
নির্মিত হচ্ছে আরও একটি ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
দেশীয় আরপিসিএল ও চায়নার নরিনকো কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন এ
বিদ্যুৎ প্লান্টের জন্য কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে
অধিগ্রহন করা হয়েছে ৯১৫একর জমি। এতে সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়ে ২৮১টি
পরিবার। বসতভিটা হারানো এসব পরিবারের পূনর্বাসনে ১’শ ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে
২৯ একর জমির উপর আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু করে সরকারের বিদ্যুৎ
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল (রুরাল পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড)।
প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এ পুনর্বাসন প্রকল্পের
কাজ শুরু হয়। এ টাইপ ও বি টাইপের ২৮১টি ঘরের প্রতিটিতে থাকছে বেড রুম,
ডাইনিং, রান্নাঘর ও বাথরুম। এরমধ্যে ২৬১টি গৃহ হচ্ছে ১ হাজার স্কয়ার
ফিটের এবং ২০টি ১২’শ স্কয়ার ফিট আয়তনের। প্রতি ১০টি পরিবারের জন্য থাকছে
একটি আঙিনা। রয়েছে বড় আকারের পুকুর। এ পুকুরেই থাকবে দু’টি ওয়াটার বাইক।
নিরাপদ পানির ব্যবস্থাসহ ১১ হাজার স্কয়ার ফিটের মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক
কাম সাইক্লোন সেন্টার, কারিগরি প্রশিক্ষন বিদ্যালয়, কাঁচা বাজার, মিনি
স্টেডিয়াম, কবরস্থান, শপিং সেন্টার, নির্দিষ্ট কবরস্থান, সৌন্দর্য
বর্ধনকারী ফোয়ারা এবং সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধাসহ পানি নিষ্কাশনের
ড্রেনেজ ব্যবস্থা। থাকছে গাড়ী পার্কিংসহ সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার
নিশ্চিয়তায় ৪টি ওয়াচ টাওয়ার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মূল বিদ্যুৎ
প্লান্টের কাজ শুরু হওয়ার আগেই ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারের পুনর্বাসনে সকল
নাগরিক সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন আবাসন নিশ্চিত করায় খুশি জমি
অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য লোন্দা গ্রামের রিনা বেগম জানান, ভূমি
অধিগ্রহনে স্বামী, শশুরের বসত ভিটা হারিয়ে কষ্ট, হতাশায় ভূগছিলাম। টিনের
ঘর ছেড়ে এখন পাকা ঘর পাচ্ছি। গ্রামের মধ্যেই শহর পাচ্ছি।
আরপিসিএল’র সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ’র্নিমানাধীন এ
পূনর্বাসন প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত নামকরন করা হয়নি। ইতিমধ্যে প্রকল্পের
৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের জুনে শতভাগ কাজ সমাপ্ত হলে ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারের সদস্যদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দিবেন প্রধানমন্ত্রী।