গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর কো-অপারেটিভ
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায়
বৃহস্পতিবার রাতে মহিপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে
ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ধর্ষকসহ অপর আসামীদের
এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।
মামলার বিবরন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কমরপুর গ্রামের শাহ
আলম চৌকিদারের ছেলে রাকিবুল ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল।
একপর্যায় স্কুল ছাত্রীর সাথে রাকিবুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর
ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২৮আগষ্ট) রাত ২ টার দিকে স্কুল ছাত্রীকে ঘর থেকে
বাইরে ডেকে নিয়ে যায় রাকিুল। এর নজিরপুর গ্রামের বালুরঘাট নামক স্থানে
নিয়ে রাকিবুল জোরপূর্বক ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অপর দুই আসামী বাবু
(২২) ও ওবায়দুল (২৪) ধর্ষণে সহযোগিতা করে এবং ওবায়দুল ধর্ষণের পর ওই রাতে
তার বাড়িতে নিয়ে রাখে স্কুল ছাত্রীকে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১১ টার দিকে ওই
ছাত্রীকে বাড়ী যাবার উদ্যেশে অটো বাইকে তুলে দেয়া হয়। এসময় ধর্ষণের ঘটনা
কাউকে না বলার হুমকি দেয় ওবায়দুল।
ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত থেকে তারা
তাদের মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ে বাড়ি ফিরে এসে
তার দাদীসহ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে রাকিবুল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ
করেছে। ওই দিনই স্থানীয় ইউপি সদস্য বিউটি রানীর সহযোগিতায় মহিপুর থানায়
মামলা করে ভিকটিম পরিবার।
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে থানায়
মামলা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামীদের
গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, কলাপাড়ায় একের পর এক শিশু শিক্ষার্থী, স্কুল ছাত্রী, কিশোরী,
নববধূ, গৃহবধূ, মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ধর্ষন সহ যৌন নির্যাতনের ঘটনায়
শহর থেকে গ্রামীন জনপদে ধর্ষন আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অনিরাপদ বোধ করছেন
সাধারন মানুষ।