গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ফের ১৩ বছরের এক কিশোরী
ধর্ষনের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে পৌরশহরের নাচনাপাড়া
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ধর্ষক লম্পট মো. জুয়েল (২০) ও মিঠু (২০) নামে
দু’জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা মো. জাহাঙ্গীর ফকির বাদী হয়ে
আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতা ওই কিশোরীকে
ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর মা স্ব-মিল থেকে লাকড়ী এনে
বাড়ীতে রেখে কিশোরীকে নিয়ে বাড়ীর পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। মা-কে রেখে
কিশোরী একা ঘরে ফেরার পথে একই এলাকার জুয়েল এবং মিঠু কিশোরীর মুখ চেপে
ধরে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়ীতে নিয়ে মিঠু’র সহযোগীতায় হাত মুখ
বেঁধে জুয়েল তাকে উপর্যুপরী ধর্ষন করে। পরে কিশোরীর ডাক-চিৎকারে
প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ রাত ৪
টার দিকে কলাপাড়া পৌরশহরের ফেরীঘাট এলাকা থেকে আসামী জুয়েল ও মিঠুকে আটক
করে। এদের মধ্যে মিঠু সম্প্রতি মাদকের মামলায় জেল থেকে জামিনে মুক্তি
পেয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরী দুই বছর আগে পঞ্চম শ্রেণিতে
পড়া শেষে শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে গেছে। সে বাড়িতে অবস্থান করছিল।
এর আগে কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে এক কিশোরী ধর্ষনের শিকার হলেও পুলিশ
অদ্যবধি কাউকে আটক করতে পারেনি। এছাড়া টিয়াখালী এলাকা থেকে অপহরনের পর এক
শিক্ষার্থীকে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষন, চাকামইয়া এলাকায়
এক নববধূকে ধর্ষন এবং ধূলাসারে এক গৃহবধূকে গনধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এসকল
মামলার অভিযুক্তরা প্রভাবশালীদের নেপথ্য শেল্টারে কেউ কেউ জামিনে রয়েছে।
আবার কেউ রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মামলার আলামত সংরক্ষন, তদন্ত
কার্যক্রম ও আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান নিয়েও সংশয় রয়েছে।