দিবাকর সরকার, কলাপাড়া প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ টুনামেন্টের ফাইনাল খেলায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের অংশ গ্রহন করিয়েছেন। গত ১৮ জুলাই বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ টুনামেন্টের (বালক) ফাইনাল খেলা খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় মোয়াজ্জেমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৬৬ নং শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশ নেয়। খেলা শুরুর আগে শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যলয়ের খেলোয়ারদের বড় দেখে মোয়াজ্জেমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরোও বেশ কয়েক জন শিক্ষক প্রতিবাদ করলে মাপ দেয়া হয় খেলোয়ারদের। মাপে শিশু কল্যান বিদ্যালয়ের এক খেলোয়ার বাদ পড়ায় ওই বিদ্যালয়ের ক্লাষ্টার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম অরিফ প্রতিবাদকারী শিক্ষকদের সাথে অসদাচারন করেন। অভিযোগে আরো জানা গেছে হাজী আ: সোবাহান শিকদার মডেল একাডেমি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফেরদৌস, ৮ম শ্রেনীর জিদান ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শান্ত এই তিন জনকে শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে খেলানো হয়। ওই খেলায় শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ সেই খেলায় যদি মাধ্যমিক স্থরের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয় তবে এর সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হবে বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় এ খেলায় অংশ গ্রহন থেকে বিরত থাকবে বলে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বলেছেন। হাজী আ: সোবান শিকদার মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, আমার বিদ্যালয়ের তিন ছাত্র শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হয়ে খেলেছেন। এবং তাদের ডেকে আমি জিজ্ঞাস করেছি তারা বলেছে আমারা হায়ারে খেলতে গেছিলাম। এব্যাপারে মোয়াজ্জেমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, এভাবে শিশুদের খেলায় মাধ্যমিক স্থরের ছাত্ররা অংশ নিলে আমাদের বিদ্যালয় আর অংশ নেবে না। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাত্রদের বড় দেখে আমিসহ অন্য কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে সহকারী শিক্ষাকর্মকর্তা মো: রফিকূল ইসলাম আরিফ শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরন করেন। হোসেনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব বলেন, ঘটনাটি প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সভায় তোলা হবে। এব্যাপরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ উঠলে মেপে একজনকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষকদের সাথে আসদাচরন করেননি। মাঠের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে একটু জোরে কথা বলেছেন।