গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার প্রায় পঁচিশ হাজার নাগরিকের নিরবিচ্ছিন্ন পানি সেবা নিশ্চিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেপৌরসভা।

এ লক্ষ্যে ১২ কোটি ৫২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪১১ টাকা ব্যয়ে ৫ লক্ষ লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন আরও একটি ওভার হেড ট্যাংক শীঘ্রই যুক্ত করা হচ্ছে পানি সংরক্ষন ও সরবরাহের কাজে। এছাড়া বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে ওভার হেড ট্যাংকে পানি উত্তোলনের জন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি জেনারেটর ক্রয় করার পরও পানি শাখার কর্মকর্তারা বলছেন নিরবিচ্ছিন্ন পানি সেবা নিশ্চিতে নতুন পাম্প চালু এবং জেনারেটর এর বিকল্প নেই ।

জানা যায়, ৩.৭৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে ১মার্চ ১৯৯৭ কলাপাড়া পৌরসভা স্থাপিত হয়। ১৩ জুলাই ২০১৫ এটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভায় উন্নীত হয়।
বর্তমানে পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় পঁচিশ হাজার, ২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী পৌরসভার জনসংখ্যা ছিল ১৯৭৮২ জন। প্রতি ২৪ ঘন্টায় পৌরবাসীর পানি চাহিদা রয়েছে ১৫০০ মিটার কিউব বা ১৫ লক্ষ লিটার। কিন্তু ১টি ওভার হেড ট্যাংকে পানি উত্তোলন সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৫০০ মিটার কিউব বা ৫ লক্ষ লিটার। বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে বিকল জেনারেটর দিয়ে পানি উত্তোলন সম্ভব না হলেও পানি লাইনের সংযোগ রয়েছে ২৭৮১টি।

ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে পানিও থাকছেনা পানি সরবরাহ লাইনে। এতে পানি সংকটে প্রতিদিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে পৌরবাসী। তাই পৌর জনপ্রতিনিধিরা মঞ্চ, সভা-সমাবেশে পৌরবাসীকে ডিজিটাল পৌরসভা নির্মানের স্বপ্ন দেখালেও নাগরিকদের কাছে বাস্তব চিত্র অন্যরকম। যদিও পানি খাতে পৌরসভার মাসিক গড় আয় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা এবং মাসিক ব্যয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। তন্মধ্যে গত ফেব্রুয়ারী মাসে পৌরসভার পানি শাখার মোট আয় ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৬ টাকা।

পৌরসভার পানি শাখার বিল ক্লার্ক মো: আলমগীর হোসেন জানান, পৌরশহরে ২৪ ঘন্টায় নাগরিকদের যে পরিমান পানি চাহিদা রয়েছে সে পরিমান পানি সংরক্ষন ও সরবরাহের সক্ষমতা নেই পৌরসভার। নতুন ওভার হেড ট্যাংকটি চালু হলে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হবে। তবে বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে পানি উত্তোলন ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে যে জেনারেটরটি রয়েছে তা দুই ঘন্টা চালালে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ার কথা জানান তিনি।

এদিকে শহরের ময়লা ব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতি, অপরিচ্ছন্ন ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়ক ক্ষত বিক্ষত করে অবিরাম ছুঁটে চলা ছয় চাকার ইট, পাথর, খোয়া, বালু
বোঝাই ট্রলির তান্ডব নাগরিকদের ভোগান্তি প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে তুললেও সেদিকে ভ্রক্ষেপ নেই পৌর মেয়র, কাউন্সিলরদের। তারা শুধু মঞ্চ, সভা, সমাবেশে
নাগরিকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ডিজিটাল পৌরসভা নির্মানের।