গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম (৪৮) কে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের হামলায় তার সহোদর মনিরুল ইসলাম (৫০),  ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ (৪৩) ও কৃষক আবুল কালাম (৪৫) আহত হয়। আহত অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলমের অবস্থা আশংকা জনক।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কলাপাড়া থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। কলাপাড়া থানার ওসি মো: মনিরুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) আলী আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে পুলিশী প্রহরায় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করে।

আহত মনিরুল ইসলাম জানান, রবিবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে পৌরশহরের উকিল পট্রি এলাকায় লালুয়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম ও ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ কে সন্ত্রাসীরা মারধর করার পর তিনি ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করেন। এসময় লালুয়ার মতি হাওলাদার তার জামার কলার ধরে তাকে টেনে হিঁচড়ে
থানায় নিয়ে আসে। এসময় মনিরুল এর সহোদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম ও অপর সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসেন। এতে সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে থানার সামনে পুলিশের উপস্থিতিতেই মঞ্জুরুল আলম ও তার সহোদর মনিরুল ইসলামের উপর
সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাদের জখম করে।

আহত অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনী মহিউদ্দীনের ভ্রাতুস্পুত্র নাইমুল ইসলাম নাহিদ তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার সাথে কয়েকজন সন্ত্রাসীও তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

ঘটনার পর পর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আহতদের দেখতে হাসপাতালে এসে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান সাংবাদিকদের জানান, থানার সামনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের উপর হামলার পর আমরা কেউ আর নিরাপদ বোধ করছিনা। আমরা দলীয় ভাবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দু’একদিনের মধ্যে জরুরী সভা আহবান করার কথা বলেন তিনি।

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, মঞ্জুরুলকে কারা মেরেছে তিনি বলতে পারছেন না, তবে পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা
ঘটানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।