অনলাইন ডেস্ক : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি সেই গৃহশিক্ষক মো. মনোয়ার হোসেন ওরফে মনুকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। গত ১৭ জুলাই জামালপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযোগে জানা গেছে, গৃহশিক্ষক মনোয়ার হোসেন ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের নাগেরপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। একই ইউনিয়নের পাশের চরবংশী বেলতৈল গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের কিশোরী কন্যাকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে তার ওপর কুদৃষ্টি পড়ে মনোয়ার হোসেনের। তিনি গত ১২ মে সকালে ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে কম্পিউটার শেখানোর কথা বলে নাগেরপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সারাদিন আটকে রেখে রাতে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৮ মে মনোয়ার হোসেনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই ওই গৃহশিক্ষক পলাতক ছিলেন। দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই কিশোরী বর্তমানে তার পরিবারের স্বজনদের হেফাজতে রয়েছে।

এদিকে গত ২০ মে মেলান্দহে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে পিবিআই’র ঢাকা সদর দপ্তর তা আমলে নেয়। সদর দপ্তর থেকে ওই সংবাদের কাটিংসহ পিবিআই জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকারকে মামলাটি তদন্ত এবং পলাতক আসামি ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে মামলাটি গত ১৩ জুন মেলান্দহ থানা থেকে পিবিআই জামালপুরে স্থানান্তরিত হয়।

পিবিআই জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সার্বিক নির্দেশনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম কবীর দীর্ঘ দুই মাস পর গত ১৭ জুলাই জামালপুর শহরের বাগেরহাটা এলাকা থেকে আসামি মনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

পিবিআই জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার আজ শুক্রবার কালের কণ্ঠকে বলেন, দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতেই আমরা মামলাটির তদন্তভার পেয়েছি। মামলাটির একমাত্র আসামি ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রমও শেষ পর্যায়ে এলো। খুব শিগগির আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

কালের কণ্ঠ