দিবাকর সরকার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাসহ সমুদ্র উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান’র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ক্রমশই উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’র প্রভাবে । বিভিন্ন নদ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থনীয় অনেকেই জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান নিয়ে সংকটে পড়েছেন সমুদ্র উপকূলীয় মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম বার্তা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কর্মহীন এসব মানুষ যেন অজানা আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। নিরাপদ আশ্রয় কিংবা জীবন বাঁচানোর চিন্তা না করে তারা নিজেদের বসতঘর আর সম্পদ রক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এ ঝড়ে না জানি কি হয়, এমন চিন্তার তাদের চোখ-মুখে।

পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ- নদীর পানির উচ্চতা ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সতকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন, পাকা ও নিরাপদ স্থাপনা এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক।
উপোজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো আবুল বাসার বলেন, তাদের ১৬০ টি প্রথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখার জন্য স্ব-স্ব বিদ্যালয় প্রধানদের বলা হয়েছে।
আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, এ এলাকার মাছ ধরা ট্রলার সাগরে যা ছিল তার বেশির ভাগই শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে যেসব ট্রলার সাগরে আছে তাও সন্ধ্যার মধ্যে তীরে আসবে। এছাড়া আলীপুরের আবাসিক হোটেল গুলো জেলেদের আশ্রয়ের জন্য ছেড়ে দয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।