দর্পণ ডেস্ক : ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র রেলসেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ভোরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তবে রুশ বার্তা সংস্থাগুলো রাশিয়ার অ্যান্টি-টেরোরিজম কমিটির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় রেলসেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সাতটি তেলের ট্যাঙ্কারে আগুন লেগে যায়। তবে কী কারণে সেখানে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ এবং ছবিতে দেখা গেছে, রেলসেতুর ওপর একটি ট্রেনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। এ ঘটনায় সংলগ্ন সড়ক সেতুটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ক্রিমিয়ার এই সেতুটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য একটি মূল লক্ষ্য বলে মনে করা হয়। ২০১৪ সালে মস্কোর সঙ্গে সংযুক্ত হয় ক্রিমিয়া। এর চার বছর পর ২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেতুটি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে।
একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ জানান, সম্ভবত ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘নিচ থেকে একটি সুপরিকল্পিত হামলাই এর কারণ হতে পারে।’
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধের রসদ পাঠানোর জন্য এই সেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরেও গত সাত মাসে এই সেতুতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে এতে হামলা হলে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল মস্কো।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, সেতুটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা রাশিয়ার জন্য বড় ধাক্কার। সেখানে কী ঘটেছে তা বোঝার চেষ্টা করছে মস্কো। তবে এ ঘটনায় ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বার্তা দিলেও দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.