অনলাইন ডেস্ক : পটুয়াখালীর গলাচিপার কলাগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারিকে লাঞ্চিত করে জোরপূর্বক
পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল চৌধুরী ও তার ক্যাডাররা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কলাগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকার অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এঘটনায় লাঞ্চিত ওই অফিস সহকারি কলাগাছিয়া পুলিশ ফাড়িঁতে জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি গ্রহন করেনি।
সূত্র জানায়, গত বুধবার ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নোটিশ বইতে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নোটিশ না করে স্কুলের প্যাডে শুক্রবার সকালে সভা ডাকে। এ কারনে স্কুলের পরিচালনা কমিটির
অভিভাবক সদস্যরা সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সভায় অভিভাবক সদস্য ৫ জনের কেউই উপস্থিত হননি। এমনকি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদও সভায় অনুপস্থিত থাকেন। তার কক্ষও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল তালাবদ্ধ। স্কুলে উপস্থিত অফিস সহকারি কমল কৃষ্ণ মজুমদারকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ খুলে দিতে বলেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম দুলাল চৌধুরী। এসময় অফিস সহকারি কমল কৃষ্ণ তার কাছে চাবি নাই জানালে চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডাররা অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও চড় থাপ্পড় মারেন। অত:পর চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র লিখিয়ে নেন। উপস্থিত লোকজন এতে হতবাক হয়ে যায়। এ বিষয়ে অফিস সহকারি কমল কৃষ্ণ বলেন, এ ঘটনায় কলাগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ি আমার জিডি নেয়নি। তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মু. হালিম মিয়াকে অবহিত করেছি।
ঘটনার বিষয় জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেন নি।