অনলাইন ডেস্ক : থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ও তাদের ফুটবল কোচকে যদি সময়মত উদ্ধার করা যায় তাহলে মস্কোতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ রবিবার (১৫ জুলাই) মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে থাই ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকেপাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলেন ফিফা সভাপতি।
উদ্বিগ্নতার সাথেই থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ফুটবল দলটির উদ্ধার কার্যক্রমের খবর অনুসরণ করছেন জানিয়ে জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবল সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের জনগণ যারা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন তাদের সঙ্গে ও আটকে পড়া ফুটবল দলটির পরিবারের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
ফিফা সভাপতি বলেন, ‘অনিশ্চয়তা ও উদ্বিগ্নতায় ভরা এ সময়টাতে তাদের পরিবারের জন্য একটু শান্তি ও সাহস যোগাতে আমাদের শুভকামনা সহযোগিতা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
‘আশা করছি; যদি তারা সবাই আবার একত্রিত হন, তাদের স্বাস্থ্য যদি ভ্রমণের উপযোগী থাকে তাহলে ফিফা খুবই আনন্দের সঙ্গে তাদের বিশ্বকাপ ২০১৮’র ফাইনাল মস্কোতে দেখার আমন্ত্রণ দিয়ে রাখছে। আমাদের অতিথি হিসেবে তারা খেলা উপভোগ করবে।’, যোগ করেন ফিফা সভাপতি।
শুধু ফিফাই নয় আন্তর্জাতিক ফুটবল সম্প্রদায়ও তাদের বার্তা ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। ফিফা বিশ্বকাপ থেকে নক আউট রাউন্ডে বেলজিয়ামের কাছে ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নেয়া জাপানের জাতীয় ফুটবল দল বলেছে, ‘আশা ত্যাগ করো না। ফুটবল বিশ্ব আপনাদের সাথে আছে।’
সমবেদনা জানিয়েছে ইংল্যান্ড। দলটির ডিফেন্ডার জন স্টোনস বলেছেন, আমাদের আশা ও প্রত্যাশা হল যে তারা নিরাপদ ও সুস্থভাবে সেখান থেকে বের হয়ে আসবে। পুরো ইংল্যান্ড দল তাদের ও তাদের পরিবারের সাথে আছে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাঠানো চিঠি
শনিবার ইংল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের প্রতিপক্ষ সুইডেন আটকে পড়া দলটির জন্য বার্তা দিয়েছে। সুইডিশ টিমের খেলোয়ার সেবাস্টিয়ান লারসন বলেছেন, ‘যেকোনো অবস্থা থেকে আমার তাদের জন্য এখন শুধু প্রার্থনা করতে পারি।’
উল্লেখ্য, ২৩ জুন চিয়াং রাই প্রদেশের থাম ল্যাং ন্যাং নম গুহার ভেতরে গেলে ভারী বর্ষণের দরুন গুহাতে আটকে পড়ে ১২ কিশোর ও তাদের কোচ। স্থানীয় ওয়াইল্ড বোরস ফুটবল টিমের সদস্য দলটির কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ মধ্যে। নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর গুহার ভেতরে তাদের প্রথম খুঁজে পায় ব্রিটিশ উদ্ধারকারীরা। এরপর তাদের নিরাপদে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে দেশি বিদেশী, সামরিক ও বেসমারিক বিশেষজ্ঞ ও উদ্ধার কর্মীরা।