দর্পণ ডেস্ক : ক্রিস গেইলের ভক্তের অভাব নেই উপমহাদেশে। বিনোদন দেয়া ক্রিকেট খেলে সারা বিশ্বে তিনি নিজের ভক্ত তৈরি করেছেন। আইপিএল-বিপিএলের মতো আসরে ভক্তরা তার ব্যাটিং দেখতে মুখিয়ে থাকে। ক্রিকেট যে দারুণ উপভোগের খেলা, ক্রিস গেইল তার প্রমাণ দিযেছেন। তবে ক্রিকেটের বাইরেও তো একটা জীবন আছে। সেই জীবনের কথা স্মরণ করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে থেকে বিদায় নিলেন গেইল।
শেষটায়ও দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিকেটের এই দানব খ্যাত গেইল। গতকাল কিনসিংটন ওভালে জ্যামাইকার হয়ে বার্বাডোজের বিপক্ষে ১১৪ বলে ১১২ রানের নিখুঁত এক ইনিংস খেলেন। তার ঝলমলে ইনিংসের সুবাদে বার্বাডোজকে ৩৩ রানে হারায় জ্যামাইকা। এটাই তার ক্যারিয়ারের শেষ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ।
শেষটা এমনভাবে রাঙাবেন আর সতীর্থরা তাকে স্যালুক দেবে না তা কী করে হয়। ম্যাচের পর কেবল সতীর্থরাই নয়, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা গেইলকে গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন। বিদায় বেলায় সবার থেকে এতটা ভালোবাসা পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রিস।
জয়ের হাসিটা মুখে নিয়ে বললেন আবেগী কিছু কথা, ‘৫০ ওভরের ক্রিকেটে জ্যামাইকার হয়ে শেষ ম্যাচে শতক পাওয়া সত্যিই দারুণ ব্যাপার। তার ওপর দলকে লিড দিয়ে জেতাতে পেরে আরও ভালো লাগছে, এটা আমার কাছে একটু বেশি বিশেষ। দেশকে ক্রিকেট বিশ্বে তুলে ধরতে পারাটা গর্বের। ৩৯ বছর বয়সে এসেও শেষটা রাঙানো, আমি খুবই কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সবাইকে, দেখুন ক্রিকেটের বাইরেও একটা জীবন আছে। সেই জীবনটাও উপভোগ করতে হয়। ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট খেলছি। এটা খুবই আনন্দের, বড় প্রাপ্তির। তবে এখন আমার পরিবার আছে। আমি যতটা সম্ভব তাদের সময় দিতে চাই। তাদের পাশে থাকতে চাই।’
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩৫৬ ম্যাচে অংশ নেন গেইল। রানের সংখ্যাটা ১২ হাজার ৪৩৬। এই ফরম্যাটে ছাড়ার পর চার দিনের ম্যাচে থাকার কথা ভাবছেন গেইল। তবে সেটা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি, ‘খুব সম্ভবত আমি সাবিনা পার্কে চার দিনের ম্যাচে খেলতে পারি। যদি সম্ভব হয়, আমি অবশ্যই চার দিনের ম্যাচে অংশ নেব, চেষ্টা করব ওই সময় নিজেকে ফ্রি রাখতে।’
সবশেষ বলে যান নিজের স্মরণীয় একটা ইনিংসের কথা। ২০০১ সালে লিওন গ্যারিকের সঙ্গে রেকর্ড ৪২৫ রানের একটা জুটি গড়েছিলেন গেইল। ওপেনিংয়ে নেমে দুজনই ছিলেন অপরাজিত। ২০৮ রান করেন গেইল আর ২০০ রান আসে গ্যারিকের ব্যাট থেকে।