অনলাইন ডেস্ক :
মাঠে খেলে দুদল। সেখানে শিল্পের পসরা সাজান ২২ জন। আর তাদের সমর্থন জোগাতে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে হাজার হাজার সমর্থক। প্রিয় দলের প্রিয় খেলোয়াড় গোল করলে উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা।

তবে ক্যামেরা খুঁজে ফেরে সুন্দরী ললনাদের। এতে টিভি সেটের বাইরে থাকা দর্শকরা পেয়ে যান যৌন খোরাক। দুঃসংবাদ এই যে, এখন তা থেকে বঞ্চিত হবেন তারা। কারণ খেলা দেখতে আসা গ্যালারির সুন্দরী রমণীদের টিভিতে দেখাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফিফা।

ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফেডরিকো আদিয়েচি এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমান বিশ্বে বিবেক নাড়িয়ে দেয়া ইস্যু যৌন হয়রানি। সর্বত্রই তা এখন ঘটে থাকে হরহামেশা। বিশ্বকাপের মতো অনিন্দ্যসুন্দর আয়োজনে যেন এই কলঙ্কের দাগ না লাগে, সে লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ ফিফার।

তবে এ নিয়ম কেবল চুক্তিবদ্ধ ব্রডকাস্টারদের ক্ষেত্রেই বলবৎ হবে। আদিয়েচি বলেন, আমরা ব্রডকাস্টারদের বলেছি- যেন তারা এটি না করে। তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি। নারী ও বিশ্বকাপের সম্মান-মর্যাদা সমুন্নত রাখতেই এ উদ্যোগ।

বিশ্বকাপ চলাকালে দর্শকসারি থেকে আবেদনময়ী নারীদেরকে বেশি বেশি দেখানোর প্রবণতা অনেক টিভি স্টেশনেরই আছে। বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা মনে করে, এই বিশ্বকাপ চলাকালে সম্প্রচার সময়ের অনেকখানিই ব্যয় করা হয়েছে সুন্দরী নারী ভক্তদের দেখিয়ে। চুক্তিবদ্ধ টিভি স্টেশনগুলোর কাভারেজ বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছেছে ফিফা। এখন সংস্থাটি চায় এ ধরণের লিঙ্গভেদমূলক কাভারেজের লাগাম টেনে ধরতে।
দ্য সানের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার নিজস্ব টিভি স্টেশনগুলোতে এই প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। নারী সমর্থকদের দিকে বারবার ক্যামেরা নিয়ে জুম করানোর অভিযোগ উঠেছে এসব টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে।
ফিফার ডাইভারসিটি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকো আডিয়েছিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘কিছু ঘটনা ঘটেছে।
এগুলো বেশ স্পষ্ট।’ এ ধরণের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে ফিফা যেই অবস্থান নিয়েছে, সেটির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিফা বিশ্বকাপ ও অন্যান্য টুর্নামেন্ট থেকে সেক্সিজম বা লিঙ্গভেদের প্রবণতা উপড়ে ফেলতে চায়।
এখনও এটি ফিফার আনুষ্ঠানিক নীতিমালাতে পরিণত হয়নি। তবে আডিয়েছি মনে করেন, এটি ফিফার স্বাভাবিক বিবর্তনের অংশ। ফিফার সক্রিয় প্রচারণার মধ্যে এই নীতি এখনও অন্তর্ভূক্ত না হলেও তিনি বলেন, ‘যা-ই অনুচিত, তার বিরুদ্ধে ফিফা পদক্ষেপ নেবে।’