ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী-ড. সাইফুল ইসলাম।
উপাচার্যের পদত্যাগসহ সাত দফা জানান বুয়েটের সাবেক শিক্ষক ও বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সভাপতি। এ প্রসঙ্গে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপাচার্য সাইফুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী দাবিকে যুক্তিযুক্ত মনে করি না।
আবরার ফাহাদ হত্যার পর ভিসি ড. সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেছেন বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। আর এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন বুয়েট ভিসি।
জামিলুর রেজা চৌধুরী সম্পর্কে বুয়েট ভিসি বলেন, ‘উনি আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ওখানে কাজ ফেলে এখানে এসে আমার সঙ্গে কথা না বলে আমার পদত্যাগ চাইলেন কী করে? এটা এথিক্যাল হলো না। উনি সম্মানিত ব্যক্তি, আমি সব সময় সম্মান করে কথা বলি উনাকে। উনাকে অনেক সময় টেলিফোনও করি। কালকে আমি কুষ্টিয়া গেলাম, উনি এখানে এসে এ কথা বললেন। এটা তো যুক্তি যুক্ত কথা হলো না। একটা ঘটনা ঘটেছে, পূর্বাপর না জেনে কয়েকজনকে নিয়ে এ কথা বললেন। উনি এতবড় জ্ঞানী পণ্ডিত হয়ে এটা কীভাবে বললেন? আমি দুঃখিত ও মর্মাহত হয়েছি।’
পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। কারণ আমার এখানে কোনো অন্যায় নেই। আমি আমার ডিউটি পালন করেছি। আমার ব্যর্থতা কী করে হবে? আমি চেষ্টার কোনো ত্রুটি করিনি। আমি তো আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি আগেই।
খুনের ঘটনায় নিজের ব্যর্থতা আছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমার ব্যর্থতা কী করে হবে? আমি চেষ্টার কোনো ত্রুটি করিনি। আমি তো আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি আগেই। ডিএসডব্লিউ (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) চেঞ্জ করলাম।
ভিসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে এখন কড়া ডিএসডব্লিউ নিয়োগ দিতে হবে। এই কাজটি তো কেউই করতে চায় না। তদন্ত কমিটি যেটি করলাম, করে শেষ করিনি ই-মেইলে বলছে- এ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। কাকে দিলে চলবে কাকে দিলে চলবে না আমাকে খুঁজতে হয়। এ করতে করতে মাথার চুল আর থাকে না।’