বিএনপি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়ন করার কথা বলা হলেও সেদিকে নজর নেই কারো। একাধিক পদ আঁকড়ে বসে আছেন যে যার মতো। অনেক নেতাকে এক পদ রেখে অন্য পদ ছেড়ে দিতে খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বেশ কয়েকবার কঠোর নির্দেশ দিলেও সেসবের কিছুই কাজে আসছে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল। তাদের তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও বেশিরভাগ জেলার থানা-উপজেলায় কোনো কমিটিই হয়নি। কৃষক দলসহ চার সহযোগী সংগঠনেরও একই অবস্থা। আহ্বায়ক কমিটি তিন মাসের মধ্যে কাউন্সিলও করতে পারেনি।
জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। কোথাও কোনো অভিযোগ থাকলে তা দেখতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে একাধিক টিম কাজ করছে।
এসব কথা কেবল আশ্বাস বলেই মনে করছেন তৃণমূলের নেতারা। কেননা অভিযোগ আছে যে, যেসব জেলার নেতারা থানা, পৌর বা উপজেলা কমিটিতে তাদের নিজস্ব বলয়ের নেতাদের স্থান দিয়েছেন। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করেননি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, নেতৃত্ব যখন দুর্বল হয় তখন পুরো দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। কোনো দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়লে বুঝতে হবে যে সে দলের নেতৃত্বে গলদ রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে কিছু বলার নেই।