মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অগ্রাধিকারের কথা বলেন গভর্নর।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ। এক্সচেঞ্জ রেটকে নিয়ন্ত্রণে আনা দ্বিতীয় বড় দায়িত্ব এবং তৃতীয় হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো। এক্ষেত্রে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে কাজ করবে। এখন মূল্যস্ফীতি যে পর্যায়ে আছে, এটা বাজারে অতিরিক্ত টাকা সরবরাহের কারণে আসেনি; বরং আমদানি করা পণ্যমূল্য বেশি হওয়ার কারণে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে আব্দুর রউফ বলেন, ব্যাংকের নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। সরকারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। মূল্যস্ফীতি আমাদের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা নয়। বিশ্ববাজারে পণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণেই দেশে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
তিনি বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতি পূরণ করে আর্থিক স্থিতিশীলতা ঠিক রাখা, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা, বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়িয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা অন্যতম।