‘নৌকার প্রার্থী মানে সাত খুন মাফ’ এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। বুধবার দুপুর আড়াইটায় রেলযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র পদে ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়া ডা. শাহাদাতের চট্টগ্রামে ফেরা উপলক্ষে রেল স্টেশনে সংবর্ধনার আয়োজন করে বিএনপি। কিন্তু সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি পুলিশ বাতিল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাদাহাত। এ সময় তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী হলে সাত খুন মাফ হয়ে যায়। রেলওয়ে স্টেশনে আওয়ামী লীগ সংবর্ধনার অনুমতি পেলে বিএনপি পাবে না কেন? দেশে যে গণতন্ত্র নেই এটা তারই প্রমাণ।
বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকায় ৮০ ভাগ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাননি। এর কারণ প্রশাসনের একচোখা ভূমিকা। চসিক নির্বাচনের শুরুতে তারা আবারও একই ভূমিকায় নেমেছে। আওয়ামী লীগ বিশাল আকারে সমাবেশের অনুমতি পায়। তখন নিরাপত্তার কোনো প্রশ্ন থাকে না। বিএনপির ক্ষেত্রে সব প্রশ্ন।
নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে ঢেলে সাজানো হবে জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, একটি সুন্দর শহর আপনাদের উপহার দিতে চাই। আধুনিক, হেলদি ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়াই আমার লক্ষ্য। চট্টগ্রাম হবে অন্যতম পর্যটন নগরী। নির্বাচিত হলে জনগণের কল্যাণে কাজ করবো। জনবান্ধব এবং বাসযোগ্য নগরী হবে বন্দরনগরী। দেশের সেরা বিভাগ হিসেবে গড়ে তুলবো চট্টগ্রামকে। তবে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়াটা অলৌকিক স্বপ্ন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এবং ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলে অবশ্যই ধানের শীষে ভোট দেবেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ বার বার প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আজকে আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। নৌকার প্রার্থী মানে সাত খুন মাফ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনাস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন, চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, মহানগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।
সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হওয়ার পর বুধবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে শাহাদাত হোসেনের সংবর্ধনার আয়োজন করে দলটি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ওই জায়গায় না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম