পটুয়াখালীর কলাপাড়ার গ্রামীন জনপদে এখন চলছে
নবান্নের উৎসব। মাঠে মাঠে কৃষকের পাকা ধান কাটার ব্যস্ততা। ধানের ফলন ভাল
হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। কিন্তু ফরিয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীদের
তৎপরতায় ফসলের কাংখিত মূল্য পাওয়া নিয়ে কৃষকদের মধ্যে শংকা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য সূত্রে জানা যায়, এবছর এ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৪৯০
হেক্টর জমিতে আমন চাষ, ২৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীন ও
শুধুমাত্র ১০ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করেছে
কৃষকরা। তবে ঘূর্নিঝড় বুলবুল’র তান্ডবে কিছু কিছু ধানের ক্ষেতে ক্ষতি
হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, ঘুর্নিঝড় বুলবুল’র তান্ডবে আমন ধানের ক্ষেতে তেমন
কোন ক্ষতি সাধন হয়নি। সব মিলিয়ে এ বছর ক্ষেতে ভাল ফলন হয়েছে। তবে ধানের
দাম নিয়ে ওইসব কৃষক চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

কৃষক মো. রুহুল আমিন বলেন, কেবল মাত্র ক্ষেতে ধানের শীষ বের হয়েছিল। ঠিক
সেই সময় ঘূর্নিঝড় বুলবুল আঘাত হানে। এতে ক্ষেতের কিছু অংশের ধান নুয়ে
পড়েছে। এর ফলে ধানে চিটা হওয়ার আশংকা দেখা দিতে পারে বলে জানান ওই কৃষক।

কৃষক মন্টু চন্দ্র সরকার বলেন, এ বছর তিনি ১৬ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন।
এ পরিমান জমিতে ধান ফলাতে ট্রাক্টরে দিতে হয়েছে ১৬ হাজার টাকা, বীজ বপনে
শ্রমিকদের মজুরী ১২ হাজার টাকা এবং সার ঔষধে ১২ হাজার টাকা সহ তার মোট ৪০
হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে ঘুর্নিঝড় বুলবুল’র আঘাতে তার ক্ষেতের কিছুটা
ক্ষতি হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভাল পেলে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে
মনে করেন তিনি।

কৃষক এরশাদ খাঁ বলেন, ঘূর্নিঝড় বুলবুলে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তার পরও
ক্ষেতে ভাল ধান হয়েছে। বাজারে ভাল মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারলে সবকিছু
পুষিয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ঘূর্নিঝড় বুলবুল যেভাবে আঘাত
হেনেছে তাতে অনেকটা ক্ষতির আশংকা ছিল। ধান ক্ষেতের অবস্থান গত কারনে সে
ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। যে ধান গুলো পরিপক্ক ছিল সে গুলো পড়ে গেছে। এ
উপজেলায় তেমন ক্ষতি সাধন হয়নি। যা হয়েছে তার তালিকা করে পাঠানো হয়েছে বলে
জানান তিনি।