অনলাইন ডেস্ক : তিন ঘন্টা পর পপি যখন এলো আমি বিস্ময়ে অভিভূত। রুপ গুণ নয়, আমি আমার মনের মানস পটে আমার কল্পনায় যে পার্বতীকে দেখেছি সেই পার্বতীকেই যেন সামনে দেখলাম। এতো মিল এর আগে কোনো পার্বতীকে লাগেনি, কল্পনার সাথে এতোটা সাদৃশ্যতা- আমি আমি অভিভূত হয়েছি।

এভাবেই চিত্রনায়িকা পপি বন্দনায় মেতে উঠেন অভিনেতা ও পরিচালক গাজী রাকায়েত। বৃহস্পতিবার রাতে এফডিসির ৩ নম্বর ফ্লোরে তিনি শুটিং করছিলেন। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের চারটি উপন্যাসের সম্মিলনে নির্মিত হচ্ছে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ সিনেমাটি। ছবিতে শরৎচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করছেন গাজী রাকায়েত। পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি।

রাকায়েত বলেন, পপি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। সে কতটা ভালো অভিনেত্রী দেশের মানুষ জানে। কিন্তু এই চলচ্চিত্রে পপি এতো পারফেক্ট ম্যাচ করবে তা কে জানতো। তাঁর অভিনয়ও মুগ্ধকর। এখন পর্যন্ত যতগুলো দৃশ্যধারণ হয়েছে- খুবই ভালো হয়েছে। সেটে মনে হচ্ছে যেন আমি সত্যি পার্বতীর সাথেই কথা বলছি।

তিনি আরো বলেন, আমাকে আরিফ বহুদিন ধরেই বলছিল। বলতে গেলে সে আমার পেছনে ঘুরছিল। কিন্তু আমি কোনোভাবেই সময় বের করতে পারছিলাম না। নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তার ওপর দাড়ি কেটে ফেলতে হবে। এটা খুব কঠিন কাজ। শরৎচন্দ্র হতে গিয়ে সেটাই করতে হলো।

পরিচালককে সাহসী উল্লেখ করে রাকায়েত বলেন, এটা খুবই একটা কঠিন কাজ। বলতে গেলে সাহসী পদক্ষেপ। আমি আরিফকে এরজন্য সাধুবাদ জানাই যে সে এমন একটা কাজ হাতে নিয়েছে। জানি না কাজটা শেষ পর্যন্ত কী হবে। তবে এই কাজ সম্পন্ন হলে আমি মনে করি এটা টিকে থাকবে। এটা দীর্ঘ সময় ধরে মানুষ দেখবে। মানুষের মুখে মুখে এই ছবির কথা ছড়িয়ে যাবে। ধীরে হলেও তা হবে।

শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের অসাধারণ সৃষ্টি কর্মের ওপর ভিত্তি করে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ চলচ্চিত্রটির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন কথাশিল্পী হাশিম আখতার মোঃ করিম দাদ। ইভেন্ট প্লাসের প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’।

ছবিতে দেবদাস ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা ফেরদৌস, গৃহদাহ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মহিম হয়ে আসবেন চিত্রনায়ক রিয়াজ আর তমা মির্জা। এছাড়াও আনিসুর রহমান মিলন ও মৌসুমী হামিদ রয়েছেন দুটি অমর চরিত্রে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন দেশের বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। ছবিটি পরিচালনা করছেন আরিফুর জামান আরিফ।