গ্রেফতারকৃতরা। ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডির পিবিআই সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।

গত ৪ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকা থেকে শ্বশুরবাড়ি মাদারীপুর যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন অনুপ বাউল। পরদিন ৫ জানুয়ারি তার ছোট ভাই বিপ্লব বাউল সিরাজদিখান থানায় একটি জিডি করেন। পরে বিপ্লব বাউল বাদী হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন। থানা পুলিশ মামলাটি প্রায় তিনমাস তদন্ত করে। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে গত ২১ এপ্রিল পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভার পায়।

বনজ কুমার জানান, তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক মো. সালে ইমরানকে। তিনি প্রথমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রিপন এবং ড্রামে করে মরদেহ বহনকারী অটোচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সন্দেহভাজন হিসাবে রিপনকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর অনেকটা নিশ্চিত হয়ে আসামি রিপন, পিযুষ, নয়ন ও দিলীপকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লাশ গুমের স্থান চিহ্নিত করা হয়। বুধবার সিরাজদিখান এলাকার বোয়ালখালী এলাকা থেকে ভেকু দিয়ে ১৬ ফুট গভীর বালির নিচ থেকে অনুপ বাউলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, অনুপ বাউলের স্বর্ণ ব্যবসার পার্টনার নয়ন মন্ডল। তাদের দুজনের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে নয়ন মন্ডল স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউলকে খুনের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী নয়ন তার চাচাতো ভাই রিপন, পিযুষ ও দিলীপের সাহায্য নিয়ে অনুপ বাউলকে হত্যা করেন।