শুক্রবার নড়াইল জেলার মাসুমদিয়া এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এসআই হরসিৎ মণ্ডল।
গ্রেফতার মিম নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মো. আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। প্রমিজ মারা যাওয়ার পর খুলনা থেকে পালিয়ে নড়াইলে আত্মগোপনে ছিলেন মিম।
প্রমিজ নাগ পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামের জোতিন্ময় নাগের ছেলে। তিনি খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
২২ জুন খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সিটি ইন হোটেলের পেছনের একটি বাড়ি থেকে প্রমিজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পকেটে একটি চিঠি পায় পুলিশ। তবে তাতে কী লেখা রয়েছে তা জানানো হয়নি। ঘটনার পরদিন আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মিমের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন প্রমিজের ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ।
জানা গেছে, মিম ও প্রমিজ নাগ খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী। একই বিভাগে পড়ার কারণে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের এ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মিম প্রায়ই প্রমিজ নাগের ভাড়া বাসায় আসতেন। পরে দীর্ঘক্ষণ থেকে ওই বাসা ছাড়তেন তিনি। ২০ জুন তাদের সম্পর্কের ফাটল ধরে। ওই দিন দুজনের মধ্যেই কথা কাটাকাটি হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এসআই হরসিৎ বলেন, প্রমিজ নাগের আত্মহত্যার খবর শুনে নড়াইলে পালিয়ে যান মিম। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আত্মহত্যার সংবাদ প্রচার হওয়ার পর বাড়ি থেকে মাসুমদিয়া এলাকায় নিকট এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন তিনি। ওই ছাত্রের আত্মহত্যার বিষয়টি আলোচনায় এলে র্যাব-৬ এর একটি দল পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে মাসুমদিয়া থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।