এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে লন্ডনের পেকহ্যাম এলাকার একটি হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের ফ্ল্যাট থেকে শিলা সেলিওনে নামের ৫৮ বছর বয়সী ওই নারীর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া নারীই যে শিলা সেলিওনের প্রথমে তা সনাক্ত করা যায়নি। কঙ্কালের দাঁত দেখেই শিলাকে সনাক্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘ দুই বছর একই জায়গা মৃতদেহটি পড়ে থাকলেও, প্রতিবেশীরা কেন টের পেল না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে লন্ডন পুলিশ।
উদ্ধার হওয়ার সময় দেহটি কঙ্কালে পরিণত হওয়ায় ময়নাতদন্তেও নিশ্চিত করা যায়নি কী কারণে মৃত্যু হয়েছিল সেলিওনের। যদিও মৃত্যুর তদন্তে গঠিত কমিটি সেই নারী ক্রোন রোগ এবং অন্ত্রের অসুখে ভুগছিলেন বলে লন্ডনের আদালতে জানিয়েছিল।
আরো পড়ুন>>
তদন্তকারীরা আরো জানান, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে ২০২০ সালে মৃত্যুর ২ বছরেরও বেশি সময় পর কী কারণে মৃত্যু, তা অনুধাবন করা অসম্ভব বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
লর্ডস কোর্টের আবাসিক এলাকায় এই ঘটনায় কৌতূহল তৈরি হয়। সকলেরই নজর ছিল আদালতের দিকে। ২০১৯ সালে অগস্ট মাসে সেলিওনকে শেষ জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বলে কোনও প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিনি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন বলে জানান তারা।
সেলিওনের মৃত্যুর তদন্ত গঠিত কমিটি আবাসিকদের ভূমিকারও তীব্র নিন্দা করেছিল।
আরো পড়ুন>>
ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ফ্ল্যাটের ভাড়া মেটানোর জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ওই নারী। গ্যাস সরবাহকারীরা সেলিওনের কোনও সাড়া না পাওয়ায় ২০২০ সালের জুন মাসে গ্যাস সরবরাহ কেটে দেয়।
সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে যে, সেলিওনের দীর্ঘদিন দেখা না যাওয়ায় পুলিশকে খবর দিয়েছিল প্রতিবেশীরা। পুলিশ দু’বার ঘটনাস্থলে এলেও এক কন্ট্রোলারের ভুলের কারণে তাকে জীবিত হিসেবে দেখানো হয় এবং তা বাড়িওয়ালা পিবডিকে জানানো হয়।