দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভুলের রাজনীতি করতে করতে বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির খাদের কিনারায় পৌঁছেছে। সংসদ বর্জনের রাজনীতি আঁকড়ে থাকলে তারা অন্ধকার, গভীর খাদেই পতিত হবে। এটাই বাস্তবতা।
আজ (শুক্রবার) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপিকে আবারও সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের পরও একগুঁয়েমি ছেড়ে সংসদে না এলে দলটির জন্য ভালো হবে না। বিদেশেও তাদের বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই যতটুকু বিজয়ের অংশীদার হয়েছে, তা নিয়েই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত। আর সংসদের ভেতরে-বাইরে দুই ক্ষেত্রেই আন্দোলন করা যায়। তারা সংসদে গেলে বিরোধী কণ্ঠ উচ্চারিত হবে।
সংসদ বর্জন করা দলের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। রাজনীতিতে জোয়ার-ভাটা আছে। ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি সংসদ বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটালে, সেটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। তাদের নিজের অস্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর।
মানুষ আর আন্দোলনের আগ্রহী নয় জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপি সাড়া জাগানোর মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। নির্বাচনের পর আন্দোলনের কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যার মাধ্যমে তাদের সাফল্য আসে। তারা আন্দোলনের ডাক দিতে পারে, জনগণ যদি সাড়া না দেয়, সাফল্য আসবে না।
বিএনপির আবার নির্বাচন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আরেকটি জাতীয় নির্বাচন পেতে বিএনপিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ সময়, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে না আসার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে চা-চক্রের আয়োজন করেছেন, সেখানে যোগ দিয়ে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট খোলামেলা আলাপ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আহ্বান বিএনপি বর্জন করেছে। এটা তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা।