আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন উপাচার্য । বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
বুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আবরারের পরিবারকে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে উপাচার্য অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করেন। তিনি ও ডিএসডব্লিউ পরিচালকসহ সাতজন মঞ্চে বসেছেন। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বৈঠকে ১০ দফা দাবি ও আবরার হত্যার ঘটনায় উঠে আসা ইস্যুগুলো নিয়ে ভিসির কাছে জবাব চাওয়া হবে।
এর আগে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে সারিবদ্ধ হয়ে পলাশীর মূল ফটকের ছোট গেট দিয়ে নিজেদের আইডি কার্ড দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী মূল ফটক বন্ধ করে ফটকের ছোট গেটের সামনে দাঁড়িয়ে প্রবেশকারী শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখে দেখে ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ দেন।
প্রবেশ করার জন্য লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, উপাচার্য স্যারের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনায় বসতে আমরা অডিটোরিয়ামের দিকে যাচ্ছি। সেখানে শুধু উপাচার্য স্যার, শিক্ষার্থীরা এবং কিছু সাংবাদিকের প্রবেশে অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে কোনো সাংবাদিক সরাসরি বৈঠকের খবর প্রচার করতে পারবে না বলেও জানান তারা।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরের দিন সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।