ছাত্র ছাত্রীদের নকল করার উপায়ের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রেপ্তার হন এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক

উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রভীন মূল ছাত্রছাত্রীদের বলছিলেন কীভাবে দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় নকল করতে হবে।

সেইসব ‘উপায়’ জানাতে গিয়েই তিনি বলেন যে পরীক্ষার খাতায় একটা একশো রুপির নোট গুঁজে দিলেই পরীক্ষক চোখ বন্ধ করে নম্বর দিয়ে দেবেন।

পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে মৌ জেলার হরিভনশ মেমোরিয়াল স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের এই ‘উপায়’গুলি জানিয়েছিলেন এবং কেউ তার এই ‘ভাষণ’ মোবাইলে রেকর্ড করে নেয়।

যথারীতি এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং অভিযোগ পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দপ্তরে।

“অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরীক্ষায় অসৎ উপায় আটকানোর যে বিশেষ নির্দেশিকা আছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের, সেটা অনুযায়ীই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে”, বিবিসিকে জানান মৌ জেলার পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট অনুরাগ আরিয়া।

“এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। তিনি এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে জেলে আছেন।”

ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওটিতে শোনা যায়, ওই শিক্ষক যে শুধু নোট গুঁজে দেওয়ার কথা বলেছেন, তা নয় ছোট চিরকুট বার করে উত্তর লিখতে গেলে যদি কেউ ধরা পড়ে যায়, তাহলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে পরিদর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতেও বলেন এই প্রধান শিক্ষক।

আর পরিদর্শকদের সঙ্গে কোনোভাবেই যেন জোর জবরদস্তি না করে কেউ, সেটাও বলে দিয়েছিলেন। সেরকম করলে স্কুলের বাকি ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় ফেলে দেবে পরিদর্শক।

স্কুলের নাম যাতে ‘উজ্জ্বল’ হয় প্রতিবারের মতোই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি প্রভীন মূল।

দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় বিগত বছরগুলিতে ব্যাপক নকলের ছবি আর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই এবার আগে থেকেই কড়া মনোভাব নিয়েছে রাজ্য সরকার। একটি মনিটরিং কমিটিও গড়া হয়েছে।

“একই সঙ্গে ভোটের মতো জেলাকে নানা সেক্টারে ভাগ করে চলমান নজরদারি গড়া হয়েছে। আকস্মিক পরিদর্শনও হচ্ছে। আর যেসব পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি সংবেদনশীল, যেখানে অন্যান্যবার ব্যাপক নকল হয়েছে, সেখানে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট রাখা হয়েছে,” জানান পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট অনুরাগ আরিয়া।

গ্রামীণফোনকে সোমবারের মধ্যে হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হবে

সমন্বিত ভর্তিতে থাকছে না বুয়েট, আলাদা পরীক্ষা

বিসিবি সভাপতির ক্ষোভ কতটা যৌক্তিক?