চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এম. মনজুর আলমের বাসায় গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় আলোচনায় উঠে এসেছে আসন্ন নির্বাচনে কীভাবে মনজুর আলম আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিমকে সহযোগিতা করবেন এবং নির্বাচিত হলে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও যেন মনজুর আলম তার পাশে থাকেন- সেসব বিষয়।
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ২০১০ সালে নির্বাচিত সাবেক মেয়র মনজুরের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন টানা ১৭ বছরের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আবার সেই মনজুরকে বিপুল ভোটে ২০১৫ এর মেয়র নির্বাচনে হারিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও চট্টগ্রামের রাজনীতিতে প্রভাবশালী নেতা মনজুর আলমের কাছ থেকে নির্বাচনে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানালেন রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে এম মনজুর আলম বলেন, ‘রেজাউল করিম সাহেব আমার কাছে এসেছেন, সহযোগিতা চেয়েছেন যেহেতু আমি একসময় মেয়র ছিলাম। আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব বলে তাকে আশ্বস্ত করেছি। তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। উনি যাতে নির্বাচনে জিতে আসেন এবং জেতার পরে সুন্দরভাবে করপোরেশন পরিচালনা করতে পারেন, এজন্য আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
বৈঠক শেষে ফোনে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘উত্তর কাট্টলী এলাকায় আমরা প্রথমে কয়েকজন প্রবীণ নেতার কবর জিয়ারত করেছি এরপর কাট্টলী মঈনুদ্দীন শাহ (র.) এর মাজার এবং গাজী আবদুল্লাহ শাহ (র.) এর মাজার জেয়ারত করেছি। একটি মন্দিরে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেছি। এরপর এম মনজুর আলমের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছি। উনি সজ্জন মানুষ, অতিথিপরয়নও। তার কাছে নির্বাচনে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছি। তিনি কথা দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনবার উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১০ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এম মনজুর আলম। প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক শিষ্য হিসেবে পরিচিত মনজুর ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহিউদ্দিনকেই হারিয়ে দেন। ২০১৫ সালে বিএনপি থেকে আবারও প্রার্থী হয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে পরাজিত হন। গোলযোগপূর্ণ সেই নির্বাচনের মাঝপথে মনজুর ভোট বর্জনের পাশাপাশি রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা দেন।
মাঝে কিছুদিন নীরব থাকলেও পরে আবার আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে বিফল হন। এবারও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন। তবে গণভবনে সাক্ষাতকারে যাননি মনজুর আলম।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম