দর্পণ রিপোর্ট: ঢাকা জেলার ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইল নিউ আবাসিক এলাকার অসহায় গৃহবধূ মোছা: সায়েরা খাতুন ও তার নাবালিকা ৫ কন্যা সন্তানকে সাথে নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের বসবাসকৃত মাতুয়াইলে ৪ কাঠা জমির উপরে সাড়ে ৬ তলা বাড়িটি দখলের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু নেছার উদ্দিন তার স্বামীকে কতিপয় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে গত ৬ আগস্ট জোর করে ধরে নিয়ে পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহয়তায় বাড়িটি পরদিন রাত ১০টায় ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠান হয়।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫ কন্যাসন্তানসহ আমাকে বাঁচান।
আমার স্বামী একজন ডেভেলপার ব্যবসায়ী। আমার পাঁচটি মেয়ে সন্তান। বড় মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। মেজ মেয়ে মহিলা মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সেজ মেয়ে ১ম শ্রেণিতে পড়ে। অপর দুই মেয়ে ছোট। ঢাকা শহরে আমার স্বামী ছাড়া আপন আর কেউ নেই। আমার স্বামীর মাতুয়াইলে ৪ কাঠা জমির উপরে সাড়ে ৬ তলা একটি বাড়ি আছে। সেই বাড়িতে আমি স্বামী সন্তানসহ ৩য় তলায় বসবাস করি। অপর ফ্লোরগুলো ভাড়া দেওয়া আছে।
বেশ কয়েক বছর পূর্বে জনৈক মোঃ নেছার উদ্দিন খোকন, পিতা- সোলাইমান, গ্রাম- বেলাশ্বর (কচুয়ার পাড়), থানা- চান্দিনা, জেলা- কুমিল্লা এর সহিত আমার স্বামীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সে প্রায়ই কারণে-অকারণে আমার স্বামীর সাথে তার অফিসে দেখা করতেন। আমার দীর্ঘদিনের ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম শহিদ, পিতা-ইসমাইল হোসেন ও জনৈক আবু তাহের পিতা-ওয়াহেদ আলীসহ তিনজনে যোগসাজশ করে গত ৬ আগস্ট আমার স্বামী তার টিকাটুলিস্থ অফিস হতে বাসায় ফেরার পথে সন্ধ্যায় ধোলাইপাড় এলাকা থেকে উক্ত মোঃ নেছার উদ্দিন খোকন, শহিদুল ইসলাম শহিদ ও অজ্ঞাতনামা কতিপয় সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় জোরপূর্বক অপহরণ করে চোখ বেঁধে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। আমার স্বামী যথাসময়ে বাসায় না আসলে আমি আমার সন্তানদের নিয়া সারারাত নির্ঘুম রাত কাটাই অতঃপর আমার আত্মীয়স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করি। পরে গ্রামের বাড়ি থেকে আমার আব্বা জনাব আবদুল মালেক আমার বাসায় আসলে আমি শ্যামপুর থানায় জিডি করতে গেলে তারা প্রথমে জিডি করতে গড়িমসি করে। পরবর্তীতে আমি আমার স্বামীকে খোঁজাখুঁজি করে কদমতলী থানায় গিয়ে দেখা করি এবং জানতে পারি এক লোমহর্ষক হৃদয়বিদারক কাহিনী।
আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু অসৎ কর্মীর সহযোগিতায় উক্ত নেছার উদ্দিন আমার স্বামীর বাড়িটি রাত ১০টার সময় ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি রেজিস্ট্রেশন করে নেয়। অতঃপর উক্ত নেছার উদ্দিন এর সহযোগিতায় মিথ্যা ও বানোয়াট একটি মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠায়। বর্তমানে আমার স্বামী আলমগীর ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার সুমন কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন। বর্তমানে উক্ত নেছার উদ্দিন তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার বসতবাড়ী থেকে আমার অসহায় পাঁচটি কন্যা সন্তানসহ উচ্ছেদের জন্য নানা পাঁয়তারা করছে এবং প্রতিদিন সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাড়ির আশেপাশে মহড়া দিচ্ছে এবং এলাকাবাসীকে বলে বেড়াচ্ছে যে সে বাড়িটি ক্রয় করেছে এবং কয়েকদিনের মধ্যে বাড়ি দখল করে নেবে। এহেন অবস্থায় আমি আমার সন্তানদের নিয়ে একজন অসহায় মেয়ে মানুষ হিসাবে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আমি বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সাংবাদিকবৃন্দের মাধ্যমে আকুল আবেদন জানাচ্ছি- এভাবে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়ি লিখে নেওয়ার ষড়যন্ত্র থেকে আমি যাতে পরিত্রাণ পাই এবং আমার স্বামী যাতে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সে ব্যাপারে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা কামনা করছি।