আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ব্রিটিশ বাংলাদেশিসহ সর্বস্তরের মানুষ। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর একুশের প্রথম প্রহরে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। যুক্তরাজ্যের একুশের প্রভাতফেরি আয়োজন পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার সকালে বের হয় প্রভাতফেরি।

দূর-দূরান্ত থেকে শহীদ মিনারে জমায়েত হয় শত শত মানুষ। রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র জন বিগস ও স্পিকার কাউন্সিলর ভিক্টোরিয়া ওভাজে।

শ্রদ্ধা জানানোর পর হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘প্রবাসী জনগণের হৃদয়ে নিজ মাতৃভূমি কতটুকু জায়গা দখল করে আছে- মধ্যরাতের এই সমাবেশ তারই প্রমাণ। প্রবাসী বাঙালির এই দেশপ্রেমকে আমি স্যালুট জানাই।’

এরপর একে একে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শহীদ মিনার কমিটি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুক্তরাজ্য বিএনপি, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব, লেবার পার্টি, যুক্তরাজ্য জাসদ, যুবলীগ, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাস, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল, বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট, মহানগর বিএনপি, মহানগর আওয়ামী লীগসহ শতাধিক সংগঠন।

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাদের আত্মত্যাগের ফলেই বাংলা আজ পৃথিবীর অন্যতম একটি সমৃদ্ধ ভাষা। বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ভাণ্ডারও খুবই সমৃদ্ধ।

রাত সাড়ে ১১টার পর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন মিছিল সহকারে শহীদ মিনারে সমবেত হতে থাকে। স্থানীয় কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ সময় শহীদ মিনারের নিরাপত্তায় নেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা।

এদিকে পূর্ব লন্ডনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছাড়াও ওল্ডহাম, বার্মিংহাম, লুটন ও নিউক্যাসেলসহ বিভিন্ন শহরে শহীদ মিনারে নামে মানুষের ঢল।