
অনলাইন ডেস্ক : যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যাবহার ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক উবার চালকের বিরুদ্ধে। গত চার বছরের মধ্যে এ ঘটনাগুলো ঘটেছে।
সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ ও আদালতের নথি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি শহরে কমপক্ষে ১০৩ জন উবার চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও অনেকে পলাতক রয়েছেন।
তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৩১ জন চালককে ধর্ষণ, মিথ্যা কারাবাস এবং জোরপূর্বক স্পর্শ করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালকদের মধ্যে অধিকাংশই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন।
ভয়বহতা এতই যে, সম্প্রতি লস এঞ্জেলস, অস্টিন, বস্টনের মতো শহরে নিরাপত্তার জন্য উবারে ব্যবহৃত গাড়িগুলোতে ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা চালু করেছে কোম্পানিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের বড় রাইডশেয়ারিং কোম্পানিগুলোর মধ্যে ‘লিফট’ অন্যতম। বিগত চার বছরে যাত্রীদের শারীরিক নির্যাতনের মতো অপরাধের কারণে লিফটের প্রায় ১৮ জন চালককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উবারের মুখপাত্র সিএনএনকে জানান, “চাকরি নেওয়া চালকদের পূর্ব ইতিহাস নিরীক্ষা করে কোম্পানির অ্যাপে ‘সেফটি সেন্টার’ চালু করা হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে আরোহীরা সহজেই তাদের ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারবে। এমনকি ৯১১-এ কল করে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে পারবে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শারীরিক নির্যাতন একটি ভয়ানক অপরাধ। যদিও উবার এই সামাজিক সমস্যা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। তবে আমরা এই সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে সমাধানের অংশ হতে চাই।’