এসকে আব্দুল্লা, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি :
নাটোরের গুরুদাসপুর রোজী-মোজাম্মেল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীরা। কলেজে সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিলের প্রায় ২১ লাখ টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে উত্তোলণ করেছেন। এছাড়া অধ্যক্ষ তার চাকুরি মেয়াদোত্তীর্র্ণ হওয়া সত্ত্বেও স্বপদে বহাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বিড়াজ করছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রসাশনিক সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকাল দশটায় কলেজটির সামনে ওই কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। কর্মসূচি শেষে শিক্ষকদের পক্ষে সমাজ বিজ্ঞাণ বিভাগের প্রভাষক মো. মাজেম আলী স্বাক্ষরিত একটি স্বারক লিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রদান করা হয়েছে।
স্বারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, চাকরীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অধ্যক্ষ ইব্রাহীম স্ব পদে বহাল থেকে কলেজে অবস্থান নিয়ে বিধিবর্হিভুতভাবে জুনিয়র শিক্ষক মায়ারানী চক্রবর্তীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া, যৌনহয়রানী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ এবং এর আগেও ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দুই শিক্ষকের বেতন ভাতা বন্ধ রাখার অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষকদের পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম একরামুল হক খোকন, সহকারী অধ্যপক রুহুল করিম আব্বাসী, প্রভাষক মো. মজিবর রহমান, প্রভাষক জয়নাল আবেদীন দুলাল প্রমূখ। বক্তারা ওই অবৈধ ও দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম হোসেনকে কলেজ থেকে হঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, কলেজে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন ৩২ জন এছাড়া নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ৬০ জন। তবুও তিনি নতুন করে অনার্স বিষয়ে নিয়োগের জন্য আর্থিক লেনদেন করেছেন। বর্তমানে মেয়াদ শেষ হলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। বরং কলেজের সহকারি অধ্যপক মায়া রানী চক্রবর্তীকে স্থানাপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন। যা আইন পরিপন্থি।


এব্যাপারে অধ্যক্ষ মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ৭ জুলাই পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। টাকা আত্মসাত হয়ে থাকলে কমিটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন। তিনি আরো বলেন, কলেজ পরিচালনা কমিটি তাকে অতিরিক্ত আরো দুই বছরের জন্য অধ্যক্ষের পদ বর্ধিত করেছেন। এব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন হলেই অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরিরত থাকতে পারবেন বলে তিনি জানান।