দর্পণ ডেস্ক : শুক্রবার বিকালে বিশ্বজুড়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে লন্ডন শহরের কেন্দ্রে টেমস নদীর ওপরে সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, ছুরি হাতে এক আততায়ী হানা দিয়েছিল ব্রিজে। অনেকে আহত হয়েছে। এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে আততায়ী হানা দিয়েছিল, কতজন আহত হয়েছেন, যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, সে নিজেই আততায়ী না তার কোনও সহযোগী, একথা পুলিশ জানায়নি।
লন্ডন থেকে কয়েকজন জানান, তারা এদিন ব্রিজের আশপাশ থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। ২০১৭ সালে ওই ব্রিজে জঙ্গি হানা হয়েছিল। আটজন নিহত হয়েছিলেন। এদিন অনেকেই সন্দেহ করতে থাকেন, তাহলে কি ফের সেখানে জঙ্গিরা হানা দিয়েছে।
পুলিশ এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “এদিন দুপুর একটা বেজে ৫৮ মিনিটে ছুরি হাতে এক আততায়ী হানা দেয়। একজন আটক হয়েছে। আমাদের ধারণা অনেকে আহত হয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, “আমি লন্ডন ব্রিজের ঘটনা সম্পর্কে খবর রাখছি। সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ ও এমার্জেন্সি সার্ভিসকে ধন্যবাদ জানাই।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পটেল বলেন, ওই ঘটনায় আমি ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
হামলার সময় লন্ডন ব্রিজের কাছে এক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, দূর থেকে তাঁর মনে হয়েছে, দু’দল লোকের মধ্যে লড়াই চলছে। দু’বার গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। একজনকে দেখা গিয়েছে উপড় হয়ে পড়ে আছে মাটিতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্রিজের যা ছবি দেওয়া হয়েছে, তাতে মনে হয়, আততায়ী হানা দিয়েছিল সেতুর উত্তরদিকে। সেখান থেকে দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে তাদের কর্মীরা গিয়েছেন। অ্যাম্বুলেন্সের কর্তারা স্বীকার করেন, ‘খুব গুরুতর’ কিছু একটা ঘটেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, লন্ডন ব্রিজ থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে কয়েকজন আশ্রয় নিয়েছিলেন স্থানীয় রেস্তোরাঁয়।